ময়মনসিংহ: ত্রিশালে ট্রাক চাপায় নিহত মায়ের গর্ভ ফেটে জন্ম নেওয়া সেই নবজাতককে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৮ জুলাই ) রাত ৮টায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে মমেক হাসপাতালের ২৫ নম্বর শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
এর আগে এদিন সন্ধ্যায় শিশুটির শরীরে হলুদ ভাব দেখা দেওয়ায় তার তত্ত্বাবধানে থাকা চিকিৎসক কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. কামরুজ্জামান ফটো থেরাপি দেওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবে শিশুটি ভালো আছে। তবে তার শরীরে ফিজিওলজাক্যাল জন্ডিসের মাত্রা একটু বেড়ে যাওয়ায় তাকে ফটো থেরাপি দেওয়া হচ্ছে।
পরে বিষয়টি ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে মমেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন লাবিব প্রাইভেট হাসপাতালের পরিচালক মো. শাজাহান। তিনি জানান, শিশুটির পায়খানা-প্রশ্রাব স্বাভাবিক আছে। প্রসূতি মায়েদের বুকের দুধও খাচ্ছে সে স্বাভাবিকভাবে।
মমেক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের চিকিৎসক রাত ১০টার দিকে জানান, আল্লাহর রহমতে ওই নবজাতক ভালো আছে। তবে এখানে তাকে আগামী ২৪ ঘণ্টা ফটো থেরাপি দেওয়া হবে।
মমেক হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. জাকিউল ইসলাম বলেন, বর্তমানে চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে শিশুটি ভালো আছে। আমরা তার চিকিৎসায় সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।
এর আগে গত শনিবার (১৬ জুলাই) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে ত্রিশালের কোর্ট ভবন এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাকচাপায় প্রাণ হারান অন্তঃসত্ত্বা রত্না বেগম (৩২), তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম (৪০) এবং তাদের ছয় বছরের মেয়ে সানজিদা। এ সময় মালবাহি ট্রাকের একটি চাকা ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীর বুকের ওপর দিয়ে চলে গেলে জরায়ু ফেটে অলৌকিকভাবে জন্ম নেয় এক কন্যা সন্তান।
এ ঘটনার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয় দেশজুড়ে। যা বর্তমানে দেশের সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অন্যতম খবর।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২২
এফআর