ঢাকা, শুক্রবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

আত্মহত্যা করা ২ পুলিশ সদস্যের কললিস্ট পরীক্ষা করছে ফরেনসিক বিভাগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপান্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২২
আত্মহত্যা করা ২ পুলিশ সদস্যের কললিস্ট পরীক্ষা করছে ফরেনসিক বিভাগ

মাগুরা: মাগুরায় গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) খন্দকার লাবণী আক্তার। সেই দিনই ভোরে তার সাবেক দেহরক্ষী মাহমুদুল হাসান মাগুরা পুলিশ লাইন্স ব্যারাকের তিনতলা ছাদে পুলিশের পোশাকে নিজের মাথায় সরকারি অস্ত্র দিয়ে গুলি করে আত্মহত্যার করেন।

দুইটি আত্মহত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশ তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। তবে এখন পর্যন্ত সুস্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি তারা। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইতোমধ্যে লাবণীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ফরেনসিক বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানে ডিজিটাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কললিস্ট পরীক্ষা করা হবে।

লাবনী আক্তারের আত্মহত্যার ঘটনার বিষয়ে তদন্তের দায়িত্বে থাকা মাগুরার শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, তদন্ত কার্যক্রম চলছে। শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা যাবে না।

অন্যদিকে মাগুরা পুলিশ লাইন্সে আত্মহত্যা করা পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের বিষয়ে তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাগুরা সদর থানার ওসি (অপারেশন) সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার বাংলানিউজকে বলেন, লাবনী আক্তারের বাবা-মা বার বারই বলার চেষ্টা করেছেন যে, পারিবারিক কলহের জেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে সব বিষয় মাথায় রেখেই আমরা তদন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছি। এ বিষয়ে স্পষ্ট করে এখনও কিছু বলার সময় আসেনি।

এদিকে স্ত্রীর মৃত্যু সংবাদ শুনে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসেন লাবনী আক্তারের স্বামী ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যাংক কর্মকতা তারেক আব্দুল্লাহ। এ দিনেই লাবনীর মরদেহ দাফন করা হয়। পরে শুক্রবার (২২ জুলাই) দুই মেয়েকে নিয়ে তিনি ফরিদপুরের বাসায় ফিরে যান। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন লাবনী আক্তারের আপন ছোট ভাই হাসনাতুল আজম প্রিন্স।

লাবনী আক্তারের বাবা শফিকুল আজম বলেন, ঘটনার পর থেকে অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে হয়েছে। মানসিকভাবে এখন আমি ভেঙে পড়েছি। স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক কলহের বিষয় ছাড়া আমার মেয়ের আত্মহত্যার পিছনে অন্য কোনো বিষয় দায়ী কিনা তা আমার কাছে স্পষ্ট নয়।

উল্লেখ্য, আত্মহত্যার ঘটনাস্থল ও সময় ভিন্ন হলেও দু'টি আত্মহত্যার ঘটনা একই সূত্রে গাথা বলে অনেকে ধারণা করছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে গুঞ্জনও শুরু হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের একটি সূত্র দাবি করছে, মূলত অসম সম্পর্কের কারণে এই দুইটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।