ঢাকা, রবিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এক স্যান্ডউইচ কিনে অভিযোগ দিয়ে পেলেন ১২ স্যান্ডউইচের দাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২২
এক স্যান্ডউইচ কিনে অভিযোগ দিয়ে পেলেন ১২ স্যান্ডউইচের দাম

বরিশাল: পুরোনো রুটি দিয়ে বানানো স্যান্ডউইচ কিনে খেতে না পারায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ দিয়ে ভোক্তা পেলেন ১২টি স্যান্ডউইচের সমান মূল্য।

জানা গেছে, কিছু দিন আগে বরিশাল নগরের একজন চিকিৎসক সদররোডস্থ মোহনা জেনারেল স্টোর থেকে ৬০ টাকা মূল্যের একটি স্যান্ডউইচ  কিনেন।

কিন্তু তার রুটি ছিল বাসি ও নষ্ট। স্যান্ডউইচটি খেতে গিয়ে তা খাওয়ার অযোগ্য হওয়ায় সেটি নিয়ে ওই দোকানে যান চিকিৎসক। দোকানের দায়িত্বরতরা স্যান্ডউইচটি রেখে ওই চিকিৎসককে টাকা ফেরত দিয়ে দেন। এর কিছুক্ষণ পর ওই চিকিৎসক চেম্বারে গিয়ে সেখানকার কর্মচারী দিয়ে আবারও একটি স্যান্ডউইচ মোহনা জেনারেল স্টোর থেকে কিনে আনেন। সেটিরও একই অবস্থা হওয়ায়, চিকিৎসক প্রমাণসহ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল জেলা কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ প্রতিশ্রুত পণ্য (স্যান্ডউইচ) যথাযথভাবে সরবরাহ না করার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বরিশাল নগরের সদরোডস্থ মোহনা জেনারেল স্টোরকে আজ তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ৭৫০ টাকা অভিযোগকারীকে নিয়মানুযায়ী দেওয়া হয়।

জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শাহ শোয়াইব মিয়া বাংলানিউজকে জানান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আরোপিত জরিমানার ২৫ শতাংশ অভিযোগকারীকে দেওয়া হয়। আর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যেকোন কার্যালয়ে ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘিত হলে কারণ উদ্ভব হওয়ার ৩০ দিনের
মধ্যে প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ দায়ের করা যায়।

এদিকে একইদিন ক্রেতার অভিযোগের ভিত্তিতে বরিশাল নগরের সিঅ্যান্ডবি রোডস্থ অটবি স্টার ফার্নিচারকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল জেলা কার্যালয়।

জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শাহ শোয়াইব মিয়া জানান, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে সরবরাহ না করার অপরাধে অটবি স্টার ফার্নিচারকে এ জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থাৎ তিন হাজার ৭৫০ টাকা অভিযোগকারীকে নিয়মানুযায়ী দেওয়া হয়।

অভিযোগকারী জানান, প্রায় লাখ টাকা মূল্যের একটি কেবিনেট ক্রয় করেছিলেন অটবি স্টার ফার্নিচার থেকে। বাসা স্থানান্তরের সময় কেবিনের দুটি গ্লাস ভেঙে গেলে সেটি লাগিয়ে দেওয়ার জন্য অটবি স্টার ফার্নিচারের দায়িত্বরতদের বলেন। তাদের লোক এসে গ্লাস লাগিয়ে দেওয়ার জন্য টাকাও নেয়। তবে তাদের আনা গ্লাস আকারে ছোট হওয়ায় সেটি না লাগিয়ে দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টালবাহানা শুরু করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২২
এমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।