ঢাকা, সোমবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

১৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় হাসপাতালের রোগীদের চরম ভোগান্তি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২২
১৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় হাসপাতালের রোগীদের চরম ভোগান্তি

পিরোজপুর: পিরোজপুরে ১৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন জেলা শহরসহ পুরো এলাকা। বিশেষ করে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ভোগান্তির কারণে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন।

বুধবার (২৭ জুলাই) রাত ৩টার দিকে একটি চাল বোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় বাগেরহাট-পিরোজপুর মহাসড়কের পাশে থাকা ৩৩ কেভি সোর্স লাইনের বিদ্যুতের একটি খুঁটি ভেঙে যায়। এতে পিরোজপুর জেলা শহরসহ পুরো এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

জেলা শহরের বাসিন্দাদের এতো ভোগান্তির মাধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভোগান্তি ছিল চোখে পড়ার মতো। সেখানে জেনারেটরের পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা থাকার কথা। কিন্তু সেটিও যথাযথভাবে ছিল না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, জেনারেটরে যে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা আছে তাতে পুরো হাসপাতালকে সেবা দেওয়ার সুযোগ নেই।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে বেড সংকুলান না হওয়ায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীদের রাখা হয়েছে ফ্লোরে বিছানা দিয়ে। বিষয়টি নিয়ে তেমন কোনো অভিযোগ না থাকলেও গরমের সমস্যা, দেখাশেনার অভাবসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রোগীদের রয়েছে নানা অভিযোগ। এসব অভিযোগ সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা সেবাকে ফেলছে হুমকির মুখে।

এদিকে সেবিকাদের রুমে লাইট-ফ্যান চললেও সেই সুবিধা পাচ্ছেন না হাসপাতালে কোনো রোগীরা।

পার্শ্ববর্তী বাগেরহাটের চন্ডিপুর থেকে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সুদ্বীপ চন্দ্র শীল জানান, গত রাত থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ নেই। হাসপাতালেও জেনারেটরের ব্যবস্থা নেই। সারা রাত কেউ একটু ঘুমাতে পারি না। একটা সরকারি হাসপাতালে যে সুযোগ সুবিধা থাকার কথা, তার কিছুই আমরা পাই না। আবার হাসপাতাল থেকে কাউকে ডেকেও পাত্তা পাওয়া যায় না।

আরেক রোগী মন্নাব মণ্ডল জানান, সারাটা রাত কারেন্ট নেই। বেড কম, রোগী বেশি। প্রচণ্ড গরম, হাতপাখা চালিয়ে হাত ব্যাথা হয়ে যায়। বিদ্যুৎ গেলেও অনেক সময় হাসপাতালে বাতি জ্বলতে দেখা যায়। কিন্তু গত রাতে তাও জ্বলেনি। আর ফ্যান তো চলেই না।

শিশু ওয়ার্ডের রোগীর এক অভিভাবক মরজিনা জানান, মঠবাড়িয়া থেকে বাচ্চার জ্বর নিয়ে আসছি। অনেকক্ষন ধরে হাসপাতালে বিদ্যুৎ নেই। গরমে সবার অবস্থাই খারাপ হয়ে গেছে।

এদিকে জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. নিজাম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের যে জেনারেটরের ব্যবস্থা রয়েছে তাতে পুরো হাসপাতালকে সেবা দেওয়া সম্ভব না। তাই রোগীরা গরমে কষ্ট পেলেও আমাদের কিছু করার থাকছে না।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. হাসনাত ইউসুফ জাকি বলেন, হাসপাতালে যে জেনারেটরটি আছে, সেটি পুরো হাসপাতালকে সেবা দিতে সক্ষম না। তাই হাসপাতালে জেনারেটরের সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।