ঢাকা: ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় বাংলাদেশ দূতাবাসের উপরাষ্ট্রদূত কাজী আনারকলিকে ফিরিয়ে এনেছে সরকার। তার বাসায় নিষিদ্ধঘোষিত মাদক পাওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে ফিরিয়ে আনা হলো।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জাকার্তা দূতাবাসে ডেপুটি চিফ অব মিশনে দায়িত্বরত কাজী আনারকলির বাসায় অভিযান চালায় ইন্দোনেশিয়ার মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। সে সময় তার বাসায় নিষিদ্ধ মাদক মারিজুয়ানা পাওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরে ইন্দোনেশিয়া সরকারের অনুরোধে তাকে ঢাকায় ফেরত আনা হয়।
চলতি বছরের ৫ জুলাই কাজী আনারকলির বাসায় অভিযান চালানো হয়। তবে কাজী আনারকলি একজন নাইজেরিয়ার নাগরিকের সঙ্গে অ্যাপার্টমেন্ট শেয়ার করতেন। তিনি নাকি ওই নাইজেরিয়ার নাগরিক মাদক রেখেছিলেন, সে বিষয়ে এখনও জাকার্তার পক্ষ থেকে ঢাকাকে জানানো হয়নি।
ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী কোনো কূটনীতিকের বাসায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালাতে পারে না। তবে ইন্দোনেশিয়ার মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ সে নিয়ম না মেনেই কাজী আনারকলির বাসায় অভিযান চালায়। পরে ইন্দোনেশিয়া থেকে তাকে প্রত্যাহার করে আনা হয়। বিষয়টি নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার কাছে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ। তবে ইন্দোনেশিয়া থেকে এখনও জবাব আসেনি।
এর আগে ২০১৭ সালে গৃহকর্মী নিখোঁজের দায়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কাজী আনারকলিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল।
উপরাষ্ট্রদূত আনারকলিকে প্রত্যাহারের বিষয়ে জানতে চাইলে মঙ্গলবার (২ আগস্ট) নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের পরররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, জাকার্তায় বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত উপরাষ্ট্রদূতের বাসায় নিষিদ্ধঘোষিত মাদক পাওয়ার অভিযোগের বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক। বাংলাদেশের একজন কর্মকর্তার এ ঘটনায় যুক্ততার বিষয়টি সরকারের জন্য বিব্রতকর।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২২
টিআর/এমজেএফ