ঢাকা, শনিবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

অনলাইনে ইনভেস্টমেন্টের নামে অর্থ আত্মসাৎ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২২
অনলাইনে ইনভেস্টমেন্টের নামে অর্থ আত্মসাৎ

ঢাকা: অনলাইনে ইনভেস্টমেন্ট করে অধিক টাকা আয়ের প্রলোভনে অর্থ আত্মসাৎকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গ্রেফতাররা হলেন- রনি খান (৩২), আরজু আক্তার (২৭) ও তাসনিম রহমান (২৫)।

বুধবার (৩ আগস্ট) বরিশালে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪টি মোবাইল, ৩টি বিকাশ/নগদ এজেন্ট সিম, বিভিন্ন ব্যাংকের কয়েকটি চেক বই ও নগদ ১ লাখ ২৮ হাজার ৬৩০ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট)  দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) এস এম আশরাফুল আলম।

তিনি বলেন, সিলেজ সাইট নামে অনলাইন ইনভেস্টমেন্ট ব্যবসায় সাধারণ মানুষদের বেশি আয়ের লোভ দেখিয়ে চক্রটি প্রথমে প্রলুব্ধ করে। প্রথম দিকের ছোট অংকের ইনভেস্টমেন্টের কিছু মুনাফও মানুষদের দিতো। পরে এতে প্রলোভিত হয়ে মানুষ বড় অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করে লাভের আশায়। তখন মোটা অঙ্কের টাকা ডিপোজিট হওয়ার পর সিলেজ সাইট নামক ওয়েবসাইটটি ডিজেবল করে দিতো চক্রটি। এছাড়া, তাদের কথিত অফিসে তালা লাগিয়ে গ্রাহকদের লাখ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যেতো।

সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, চক্রটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এজেন্ট নিয়োগ দিয়েছিল। মোবাইল ব্যাংকিং ও ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে তারা এই টাকা সংগ্রহ করতো।

চক্রটির এসব কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সিআইডির সাইবার পুলিশে কাছে ৩টি অভিযোগ আসে। এছাড়া গত ২৭ জুলাই জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সিলেজ সাইটের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীরা মানববন্ধন করেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে নজরদারির ধারাবাহিকতায় বরিশাল থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, তারা বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করে সেই টাকা ক্যাশ করে দুবাই প্রবাসী সানজিদা ও তার স্বামী আশিকের নির্দেশে বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টে জমা দিতো। তাদের কাছ থেকে জব্দ হওয়া মোবাইলে বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার তথ্য পাওয়া যায়।

মূলত চক্রটি দুবাই থেকে সানজিদা-আশিক দম্পতি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। তাদের বর্ণনা মতে গত ৩-৪ মাসে তারা প্রায় ৪ কোটির টাকার বেশি বিভিন্ন ব্যাংকে জমা দিয়েছে বলেও জানান সিআইডির এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২২
পিএম/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।