ঢাকা, সোমবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ মে ২০২৪, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

টাকা হাতানো চক্রে বিকাশের চাকরিচ্যুত ডিএসও

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২২
টাকা হাতানো চক্রে বিকাশের চাকরিচ্যুত ডিএসও

ঢাকা: বিকাশ নম্বর আপডেটের কথা বলে একটি চক্র কৌশলে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ চক্রের মূল হোতাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- চক্রের মূল হোতা মাহবুব কাজী (২১), তার তিন সহযোগী বিকাশের চাকরিচ্যুত সাবেক ডিস্ট্রিবিউটর সেলস অফিসার (ডিএসও) শাহরিয়ার নাফিজ ওরফে মিল্টন (২৫), মো. রিপন মিয়া (২৪) ও মো. ইউছুফ মিয়া (১৮)।

সিআইডি জানায়, বুধবার (২৪ আগস্ট) জামলাপুর জেলা থেকে মিল্টন ও রিপনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুর থেকে মো. ইউছুফ মিয়া ও ফরিদপুর জেলার মালিগ্রাম থেকে মাহবুব কাজীকে গ্রেফতার করা হয়।  

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯টি মোবাইল ফোন ও ৫৭টি বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর কোম্পানির সিমকার্ড জব্দ করা হয়েছে।

বিকাশের সাবেক কর্মী মিল্টনের সহযোগিতায় মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানটির ডিএসওদের ফোন ক্লোন করতো চক্রটি। পরে ক্লোনের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকার বিকাশ এজেন্টদের কল করে নিজদের বিকাশ হেড অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিতো। পরে তাদের বিকাশ এজেন্ট নম্বরের আপডেটের কথা বলে ওটিপি নিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে এজেন্ট একাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিয়ে নিতো চক্রটি।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মালীবাগে সিআইডি প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মো. রেজাউল মাসুদ।

তিনি বলেন, একজন বিকাশ এজন্টের নম্বর থেকে ১ লাখ ৭০০ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে চক্রের মূল হোতাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি জানান, মূল হোতা মাহবুব কাজী একজন পেশাদার বিকাশ প্রতারক। বিকাশে প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে একদিন শাহরিয়ার নাফিজ ওরফে মিল্টনকে ফোন করলে কথায় কথায় তাদের মধ্যে সখ্য গড়ে ওঠে। পরে মাহবুব কাজীর চাহিদা অনুযায়ী মিল্টন তার ডিস্ট্রিবিউটর হাউজের আওতাধীন বিকাশ এজেন্ট নম্বরগুলো মাহবুব কাজীকে সরবরাহ করে। বিনিময়ে সে মাহবুবের কাছ থেকে কমিশন পেত। এরপর মিল্টনের মাধ্যমে বিকাশের আরেক চাকরিচ্যুত ডিএসও মো. রিপন মিয়া এ কাজে জড়িয়ে পরে।

অভিযোগ করা ভিকটিম ছাড়া আরও অনেক বিকাশ এজেন্ট ও বিকাশ পার্সোনাল নম্বর থেকে এ প্রতারক চক্র গত ৩ মাসে প্রায় ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ কাজের জন্য তারা পেইড ভার্শন ক্লোনিং অ্যাপস ব্যবহার করে বিকাশের ডিএসওদের নম্বর ক্লোন করে বিভিন্ন এজেন্টদেরকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করে আসছিলো। তাদের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২২
পিএম/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।