ঢাকা, সোমবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ মে ২০২৪, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সকাল ৮টায় বকশীগঞ্জের অনেক অফিসেই দেখা মেলেনি কর্মকর্তাদের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২২
সকাল ৮টায় বকশীগঞ্জের অনেক অফিসেই দেখা মেলেনি কর্মকর্তাদের

জামালপুর: সরকারের নতুন ঘোষণা অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকে অফিস করার নির্দেশনা থাকলেও সেটি মানছেন না সরকারি কর্মকর্তারা। অনেকে সকাল ১০টার মধ্যেও আসছেন না তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকাল থেকে বিভিন্ন সরকারি অফিস সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন সকাল ৮টার দিকে এসব দপ্তরে গিয়ে দেখা যায় কোনো কর্মকর্তাই আসেননি। কেউ কেউ আসতে শুরু করেন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে। আবার অনেকে সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদও অফিস কক্ষে উপস্থিত হননি এমনও দেখা গেছে।

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে সরজমিনে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ অফিসে প্রবেশ করেন মাত্র চারজন কর্মকর্তা। এমনকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদধারীর সবাই ছিলেন অনুপস্থিত।

শুধু যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সুলতান মাহামুদ উপস্থিত থাকলে সেই অফিসের অন্যান্য সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন অনুপস্থিত।

এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দেখা যায়নি উপজেলা প্রকৌশলী শামছুল আলম, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা রাফিউজ্জামান, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আশিকুর রহমান, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আসাদুজজামান, উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা কাজী সোয়াইব আজমী, উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা শামীমা পারভীন ও উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার পালকে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনমুন জাহান লিজা প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে অবস্থান করায় ভারপ্রাপ্ত হিসেবে এ দায়িত্ব পালন করছেন সহকারী কমিশানার (ভুমি) আতাউর রাব্বী। ইউএনওর অনুপস্থিতে সেই দায়িত্বটি তার পালনের কথা থাকলেও তিনি ভুমি অফিস কার্যালয়ের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রশিদা বেগমকে দেখা যায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাতে ট্রেনের টিকিট নিয়ে এসে দ্রুত অফিসে প্রবেশ করছেন। এর ১৫ মিনিটের মধ্যে দাপ্তারিক কিছু স্বাক্ষর করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। এ সময় তিনি বাংলানিউজকে জানান, মেরুরচর ইউনিয়নের একটি প্রাথমিক স্কুলে তদন্ত কাজ শেষ করে সরাসরি ঢাকা চলে যাবেন।

উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা তার কর্মস্থল ত্যাগ করার অনুমতি না থাকলেও তিনি পাশ্ববর্তী শেরপুর জেলা থেকে অফিস করেন। ১১টা পর্যন্ত তিনি ছিলেন অনুপস্থিত। পরে ফোনে তিনি জানান, তার জ্বর এসেছে ও চোখ উঠেছে। শারীরিকভাবে তিনি অসুস্থ্য। কিন্তু অফিস থেকে তিনি কোনো ছুটি নেনটি।

এ নিয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফি আফজাজুল আলম বাংলানিউজকে জানান, উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার নিজ কর্মস্থল ত্যাগ করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু যেটি ঘটেছে সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।