ঢাকা, শনিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ফরিদপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিক্রির অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২
ফরিদপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিক্রির অভিযোগ

ফরিদপুর: ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর ৪৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার লস্কারদিয়া ইউনিয়নের বাঘুটিয়া গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পে এ ঘটনা ঘটে।

গত মে মাসের ২৫ তারিখে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ঘরটি বিক্রি করা হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

শনিবার (০৩ সেপ্টম্বর) বিষয়টি নিশ্চত করেছেন নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমাম রাজী টুলু।

স্থানীয়রা বলেন, ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পে একটি ঘরের প্রথম বরাদ্দ পান বাঘুটিয়া গ্রামের রিপন মাতুব্বর ও তার স্ত্রী বিথি বেগম। সম্প্রতি ঘরটি তারা বিক্রি করে দেন। স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ঘরটি কিনে সেখানে বসবাস শুরু করেছেন রাশেদ মোল্যা ও তার স্ত্রী রাশিদা বেগম।

জানা গেছে, আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য জমি বরাদ্দ ছাড়া শুধু ঘর নির্মাণে সরকার এক লাখ ৭১ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল। উপজেলার বাঘুটিয়া গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পে মোট ১০টি ঘর নির্মাণের পর ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি সেগুলো হস্তান্তর করা হয়। এর মধ্যে একটি ঘর টাকার বিনিময়ে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।

রাশেদ মোল্যার স্ত্রী রাশিদা বেগম টাকার বিনিময়ে ঘর কেনার কথা স্বীকার করে বলেন, আগের সুবিধাভোগী রিপন মাতুব্বরের কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ঘরটি আমরা কিনে নিয়েছি।

বিষয়টি নিয়ে রিপন মাতুব্বরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উপজেলার লস্কারদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান বাবুল বলেন, এ বিষয়ে আমাকে এখনও কেউ কিছু জানাননি।

নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমাম রাজী টুলু বাংলানিউজকে বলেন, যাদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কেবলমাত্র তারাই ঘরে বসবাস করতে পারবেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পের এসব ঘরগুলো কোনোভাবেই বিক্রি বা হস্তান্তরের সুযোগ নেই। সরকারি আশ্রয়ণের ঘর বিক্রি করা আইনত অপরাধ।

তিনি আরও বলেন, ঘর বিক্রির বিষয়টি জানার পর সরেজমিনে গিয়ে ওই ঘরে কাউকে পাইনি। পরে আমি নিজে ঘরটি তালাবদ্ধ করে দিয়েছি।

ইউএনও বলেন, যতটুকু জানতে পেরেছি রিপন মাতুব্বর তার স্ত্রীকে বিদেশে পাঠানোর জন্য রাশেদ মোল্লার কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা ধার নেন। ধারের টাকা পরিশোধ হিসেবে ঘরটি তিনি বিক্রি করেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পের অন্য ঘরগুলোতে থাকা সুবিধাভোগীদের খোঁজও আমরা রাখছি। যারা নিজেরা ঘরে বসবাস না করে বিক্রি করছেন, তাদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। আর নতুন করে সুবিধাভোগীদের তালিকা করে এসব ঘর দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।