ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

‘সব কথা বলার পরেও বলে—কথা বলার অধিকার নাই’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২
‘সব কথা বলার পরেও বলে—কথা বলার অধিকার নাই’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার গণভবনে সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সরকার কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে মন্তব্য করে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সব কথা বলার পরেও বলে—কথা বলার অধিকার নাই, এটাও শুনতে হয়।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) গণভবনে সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন টক শো করে যে যার মতো কথা বলে। একটা কথা জিজ্ঞেস করি, আওয়ামী লীগ সরকার আসার আগে কে এত কথা বলার সুযোগ পেয়েছে? বলেন তো কেউ পেয়েছে কখনো সুযোগ? পায়নি। একটা টেলিভিশন, একটা রেডিও। কোথায় টকশো আর কোথায় মিষ্টি কথা আর রসগোল্লার মিষ্টি হোক কোথাও তো কেউ পায়নি; কথা বলার তো অধিকার ছিল না। ’

‘হ্যাঁ, এখন শুনি, সব কথা বলার পরেও বলে—কথা বলার অধিকার নাই; এটাও শুনতে হয়। রাস্তায় আন্দোলনে এখন জনগণ সাড়া না দিলে সেটা তো আমাদের দায়িত্ব না। কিন্তু আওয়ামী লীগ যে বিএনপির হাতে নির্যাতিত সে কথাটা ভুলে গেছেন। ’

বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতিত হওয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ওপর তো সবাই চড়াও হয়েছে। সে জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করলে তারপর থেকে একের পর এক। লাশ টানতে টানতে আর চিকিৎসা করতে করতে নাভিশ্বাস উঠেছিল আমাদের। আজকে কি সেই পরিবেশ আছে, তা তো নাই। ’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘এমনকি আমাদের পার্টির কেউ যদি কোনো অন্যায় করে আমরা কিন্তু ছেড়ে দেই না। আমার দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে, কিছু বলবো না তা কিন্তু না। যে অন্যায় করবে তার বিরুদ্ধে আমি কিন্তু ব্যবস্থা নেব এবং নিচ্ছি। সেটা আমি কখনো সহ্য করব না। ’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই দেশের গণতান্ত্রিক ধারাটা অব্যাহত থাকুক, একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আসুক। এখন যারা তত্ত্বাবধায়ক বা ইত্যাদি বলে চিৎকার করছেন, তারা ওয়ান-ইলেভেনের কথা ভুলে গেছে? ২০০৭ এর কথা ভুলে গেছে, কী অবস্থাটা সৃষ্টি হয়েছিল? রাজনৈতিক কর্মী কি সাংবাদিক সবার নাভিশ্বাস উঠেছিল। সেখান থেকে তো সবাই অন্তত মুক্তি পেয়েছে। ’

তিনি বলেন, ‘২০০৯ থেকে এই ২০২২ পর্যন্ত স্বাধীনভাবে কথা বলার যে অধিকার, চলার অধিকার, সমালোচনার অধিকার, প্রশংসা করার অধিকার সবই তো পাচ্ছেন। কেউ তো কাউকে মুখ বন্ধ করে রাখছে না। কাউকে তো আমরা বাধা দিচ্ছি না। পূর্ণ স্বাধীনতা এটা তো আমি দিয়েছি, এটা তো স্বীকার করতে হবে। ‘

আরও পড়ুন:
সম্পর্ক সুসংহত করে আরও এগিয়ে যেতে চাই: প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচন ইস্যুতে সংবিধানের বাইরে যাবে না আ. লীগ: শেখ হাসিনা
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে: প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২
এমইউএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।