ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বাগেরহাটে ইউপি চেয়ারম্যানের নামে অর্থ আত্মসাতের মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২
বাগেরহাটে ইউপি চেয়ারম্যানের নামে অর্থ আত্মসাতের মামলা ইউপি চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া।

বাগেরহাট: বিয়ের নামে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক নারী।  

বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (চিতলমারী) ভুক্তভোগী ওই নারী বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) মামলাটি দায়ের করেন।

 

আদালতের বিচারক মো. খোকন হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বাগেরহাট কার্যালয়কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভুক্তভোগী নারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ বাহাদুর ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

চিতলমারী উপজেলার বাসিন্দা ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, আমার স্বামী সৌদি আরব থাকায় ২০১২ সালের দিকে কলাতলা ইউনিয়নের চরচিংগুরি গ্রামের মৃত ছালাম শেখের ছেলে মো. বাদশা মিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। একই বছর ১৯ সেপ্টেম্বর মো. বাদশা মিয়া আমার কাছ থেকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা ধার নেয়। বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে আমাকে দিয়ে প্রবাসী স্বামীকে তালাক দেওয়ায়। পরবর্তীকালে ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর খুলনার অজ্ঞাত এক কাজী অফিসে তিন লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে বিয়ে করেন। একই সঙ্গে খুলনা শহরের টুটপাড়া এলাকার মাওলানা আব্দুল জব্বারের মাধ্যমে কলমা পড়িয়ে বিয়ে সম্পন্ন করেন। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ঢাকা শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করি। স্বামী-স্ত্রী হওয়ার সুবাদে মো. বাদশা মিয়া বিভিন্ন সময় ব্যবসা করার জন্য আমার কাছ থেকে আরও ১০ লাখ টাকা নেয়। এভাবে আমাদের সংসার চলতে থাকে। কিন্তু হঠাৎ করে বাদশা মিয়া কলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। বিয়ের কথা অস্বীকার করে। কিন্তু তার সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে আমার ছবি আছে। আমরা এক সঙ্গে ভাড়া বাসায় ও হোটেলে থেকেছি, তা অনেক মানুষ জানে। বাদশা মিয়াকে বিয়ের জন্য আমি স্বামীকে তালাক দিয়েছি, আর এখন সে আমাকে অস্বীকার করে। আমি কোথায় যাব, এই বলে কান্না করেন ওই নারী।

এ বিষয়ে কলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া বলেন, ওই নারীর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। তার কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এই মিথ্যা মামলা করিয়েছে।

ছবির বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া বলেন, ওই নারী সম্পর্কে আমার নাতি হয়। কোনো এক বিয়ের অনুষ্ঠানে এই ছবি তোলা ছিল মনে হয়।

ভুক্তভোগী নারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ বাহাদুর ইসলাম বলেন, বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।