ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দুই পদে একই ব্যক্তি!

খোরশেদ আলম সাগর, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২
দুই পদে একই ব্যক্তি!

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি কেরামতিয়া দাখিল মাদরাসার অফিস সহকারী এজাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে একসঙ্গে দুই পদে নিয়োগ নিয়ে বেতন উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।

মাদরাসার অফিস সহকারীর পাশাপাশি তিনি ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্টার হিসেবেও কর্মরত রয়েছেন।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনার তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নিতে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন আব্দুল হাকিম নামে এক সেবাগ্রহীতা।

অভিযোগকারী আব্দুল হাকিম উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের মহিষতুলি গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভেলাবাড়ি কেরামতিয়া দাখিল মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন এজাজুল ইসলাম। তিনি তথ্য গোপন করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের বিচার শাখা ৭ থেকে ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্টার হিসেবেও নিয়োগ নেন। আর এটি বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ এর ১১, ১০(ক), ১৭, ৩, ১৮, ১, ২৭(ঙ) ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে নিকাহ রেজিস্টারদের জন্য একটি কার্যালয় রয়েছে। সেখানেই নিকাহ রেজিস্টার বসার কথা থাকলেও এজাজুল ইসলাম সেখানে না থেকে মাদরাসায় কর্মরত থাকেন। এতে কাঙ্খিত সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয়রা। আর নিকাহ রেজিস্টার কাজে সময় দিলে মাদরাসার কাজে বিঘ্ন ঘটে। তাই পৃথক পদে পৃথক ব্যাক্তির ওপর ন্যাস্থ করতে স্থানীয়রা ঊর্দ্ধতন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

নিকাহ রেজিস্টার কাজে ভোগান্তি রোধকল্পে স্থানীয় মহিষতুলি গ্রামের আব্দুল হাকিম বাদি হয়ে লালমনিরহাট জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগকারী আব্দুল হাকিম বলেন, এলাকার হাজার হাজার মেধাবী শিক্ষিত যুবক বেকারত্বের কষাঘাতে পিষ্ট। অথচ নিকাহ রেজিস্টার এজাজুল ইসলাম তথ্য গোপন করে একাই দুইটি পদে নিয়োগ নিয়ে বেতন ভাতা আত্নসাৎ করছেন। তাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

এদিকে অভিযুক্ত এজাজুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, দুই পদে কর্মরত আছি ঠিকই, কিন্তু আমি তথ্য গোপন করিনি। আমার জানা মতে শিক্ষা অফিস এবং জেলা রেজিস্টার দুই তদারকি কর্মকর্তাই বিষয়টি জানেন।

একাই একই সময়ে দুই জায়গায় সেবা কিভাবে দিচ্ছেন এমন প্রশ্নে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

লালমনিরহাট জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল বারি অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।