ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

নতুন ‘জঙ্গি সংগঠন’ জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০২২
নতুন ‘জঙ্গি সংগঠন’ জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া 

ঢাকা: নব্য জেএমবির মতো জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ সমমনারা ফিরছে নতুন সংগঠনের মাধ্যমে। অধিকাংশ ‘জঙ্গি সংগঠন’ নিষিদ্ধ হওয়ায় ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ নামে এ সংগঠনের শুরু ২০১৭ সালে।

তবে ২০১৯ সালে এর নামকরণ হয়।  

২০১৭ সাল থেকেই তরুণদের জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করে এই নতুন মঞ্চে টানার চেষ্টা শুরু হয়। তাদের পরিকল্পনায় কতজন তরুণ উদ্বুদ্ধ হয়ে এ প্লাটফর্মে ভিড়েছে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য জানা যায়নি। ঘরছাড়া তরুণদের ভোলার চরাঞ্চলে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি দেশের কুমিল্লা ও দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে বাড়ি ছেড়ে কথিত ‘হিজরত’ করে ঘর ছেড়েছে অর্ধশতাধিক তরুণ। যাদের মোটিভেশনসহ স্বশস্ত্র সংগ্রামের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণে নেতৃত্ব দিচ্ছে জেএমবি, নব্য জেএমবি, হিজবুত তাহরীরসহ অন্যান্য নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন থেকে আসা নেতৃস্থানীয়রা।

কুমিল্লা ও দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে বাড়ি ছেড়ে কথিত হিজরত করে ঘরছাড়া চার জনসহ ৭ জনকে মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১১)।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ২৩ আগস্ট কুমিল্লা সদর এলাকা থেকে ৮ তরুণের নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় গত ২৫ আগস্ট কুমিল্লার কোতয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়। র‌্যাব নিখোঁজের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের উদ্ধারে ও জড়িতদের আটকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়।  

তদন্তকালে প্রাথমিকভাবে জানা যায়, জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে ঘরছাড়া চার তরুণকে হেফাজতে নিয়ে ৬ সেপ্টেম্বর পরিবারের কাছে ফিরিয়েও দেয় র‌্যাব।

বুধবার (৫ অক্টোবর) রাতে র‌্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১১ এর অভিযানে মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকা থেকে হোসাইন আহম্মদ (৩৩), নেছার উদ্দিন ওরফে উমায়ের (৩৪), বণি আমিন (২৭) ও চার নিরুদ্দেশ তরুণ ইমতিয়াজ আহমেদ রিফাত (১৯), হাসিবুল ইসলাম (২০), রোমান শিকদার (২৪), সাবিতকে (১৯) আটক করা হয়। এসময় নব্য জঙ্গি সংগঠনের প্রচারপত্র, বিস্ফোরক তৈরির নির্দেশিকা, নব্য জঙ্গি সংগঠনের কর্মপদ্ধতি, উগ্রবাদী বই, জিহাদি ভিডিও সম্বলিত একটি ট্যাব উদ্ধার করা হয়।

কুমিল্লা থেকে নিখোঁজ ৮ তরুণের মধ্যে শারতাজ ইসলাম নিলয় (২২) নামক তরুণ গত ১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কল্যাণপুরের নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। র‌্যাব ফিরে আসা নিলয়কে তার পরিবারের হেফাজতে রেখে বাকি নিখোঁজ ৭ সদস্য ও জড়িতদের আটক করে। গত ২৩ আগস্ট সকাল ১০টায় নিলয়সহ নিখোঁজ ৫ তরুণ নিজ নিজ বাড়ি ছেড়েছিলেন।

কুমিল্লা টাউন হল এলাকা থেকে সোহেলের নির্দেশনায় তারা দুই ভাগ হয়ে লাকসাম রেল ক্রসিংয়ের কাছে হাউজিং স্টেট এলাকার উদ্দেশে যাত্রা করে। সেখান থেকে তাদের অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি লাকসামের একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে নিলয়, নিহাল, সামি ও শিথিলকে কুমিল্লা শহরের একটি মাদ্রাসার মালিক নিয়ামত উল্লাহর কাছে পৌঁছে দেন সোহেল। তার তত্ত্বাবধানে একদিন থাকার পর সোহেল চার জনকে নিয়ে ঢাকায় আসে এবং নিহাল, সামি ও শিথিলকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির কাছে বুঝিয়ে দিয়ে নিলয়কে পটুয়াখালীর একটি লঞ্চের টিকিট কেটে পটুয়াখালীতে পাঠায়। পটুয়াখালীতে নিলয়কে স্থানীয় এক মাদ্রাসায় নিয়ে যায় আটক বনি আমিন এবং হুসাইন ও নেছার ওরফে উমায়েরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। বণি আমিন নিলয়কে ৩ দিন তার বাসায় রাখে। তার বাসায় অতিথি আসায় পরবর্তীতে নিলয়কে হুসাইনের মাদ্রাসায় রেখে আসে। নিলয় মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর কল্যাণপুরে নিজ বাড়িতে ফিরে আসে।

নিলয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বনি আমিন, নেছার উদ্দিন ওরফে উমায়েরকে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক থেকে, হুসাইন আহমদ, রিফাত, হাসিব, রোমান শিকদার ও সাবিতকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে আটক করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি জানান, আটক হাসিব ও রিফাত এক বছর আগে কুমিল্লার একটি মসজিদের ইমাম হাবিবুল্লাহর কাছে সংগঠনের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে ধারণা পায়। হাবিবুল্লাহ তাদের উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ করে ফাহিম ওরফে হাঞ্জালার কাছে নিয়ে যায়। ফাহিম তাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে মুসলমানদের ওপর নির্যাতনসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাত্ত্বিক জ্ঞান দেয়। এভাবে তাদের সশস্ত্র হামলার প্রস্তুতি নিতে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়ে আগ্রহী করে তোলে।

আটক রোমান স্থানীয় এক ব্যক্তির মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য গত ৪০ দিন আগে নিরুদ্দেশ হন এবং আটক সাবিত দুই মাস আগে পটুয়াখালী থেকে নিখোঁজ হন।

জানা যায়, সোহেলের তত্ত্বাবধানে কুমিল্লা থেকে নিখোঁজ তরুণদের সশস্ত্র হামলার প্রস্তুতির জন্য প্রশিক্ষণ নিতে পটুয়াখালী ও ভোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়। নিরুদ্দেশ তরুণদের বিভিন্ন সেইফ হাউজে রেখে পটুয়াখালী এলাকার সিরাজ ওরফে রবি নামক ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে পটুয়াখালী ও ভোলার বিভিন্ন চর এলাকায় সশস্ত্র হামলা, বোমা তৈরি, শারীরিক কসরত ও জঙ্গিবাদ বিষয়ক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেয়।  

আটক হোসাইন আহম্মদ পটুয়াখালীর একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। নিষিদ্ধ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন থেকে কতিপয় সদস্যদের একীভূত করে ২০১৭ সালে এই নব্য জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে সংগঠনটি ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ (পূর্বাঞ্চলীয় হিন্দের জামাতুল আনসার) হিসেবে নামকরণ করা হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার মঈন বলেন, বাংলাদেশের নিষিদ্ধ সংগঠন, বিশেষত জেএমবি, আনসার আল ইসলাম ও হুজি’র বিভিন্ন পর্যায়ের কিছু নেতা ও কর্মীরা একত্রিত হয়ে এই উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম শুরু করে। আটক হোসাইন সংগঠনের জন্য সদস্য সংগ্রহ ও তত্ত্বাবধান, তাত্ত্বিক জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে সদস্যদের সশস্ত্র হামলার বিষয়ে প্রস্তুত করে তুলতেন। তিনি ২০১৪-১৫ সালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় অধ্যয়নকালে সিরাজ নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে উগ্রবাদে অনুপ্রাণিত হন। এখন পর্যন্ত ১৫-২০ জন সদস্য সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।

আটক নেছার উদ্দিন ওরফে উমায়ের ভোলায় একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ২০১৯ এর আগে উগ্রবাদী কার্যক্রমে যুক্ত হন। তিনি হিজরত সদস্যদের প্রশিক্ষক ও তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। এছাড়াও তিনি সদস্যদের বিভিন্ন তাত্ত্বিক জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে সদস্যদের সশস্ত্র হামলার বিষয়ে প্রস্তুত করে তুলতেন। তিনি ৯-১০ জন সদস্যের তত্ত্বাবধান ও প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

আটক বণি আমিন উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে পটুয়াখালী এলাকায় কম্পিউটার সেলস অ্যান্ড সার্ভিসের ব্যবসা করেন। তিনি সদস্যদের আশ্রয়দান ও তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ২০২০ সালে হোসাইনের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ২২-২৫ জন সদস্যকে আশ্রয়দান ও তত্ত্বাবধানে জড়িত ছিলেন।

আটক রিফাত কুমিল্লাতে অর্থনীতি বিষয়ে স্মাতক ১ম বর্ষে অধ্যয়নরত। আটক হাসিব উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যয়নরত এবং একটি অনলাইন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তারা হাবিবুল্লাহর মাধ্যমে জঙ্গিবাদে দীক্ষিত হতে গত ২৩ আগস্ট বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হন।

আটক রোমান পুর প্রকৌশল বিষয়ে ডিপ্লোমা করে গোপালগঞ্জে ইলেকট্রিক্যাল ও স্যানিটারি বিষয়ক কাজ করতেন। তিনি অনলাইনে বিভিন্ন ভিডিও দেখে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হন এবং স্থানীয় এক ব্যক্তির মাধ্যমে সংগঠনটি সম্পর্কে ধারণা পান। পরবর্তীতে তিনি প্রায় এক মাস আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন।  

আটক সাবিত উত্তরা এলাকায় প্রায় এক মাস আগে একটি ছাপাখানায় স্টোর কিপারের কাজ করতেন। তিনি তার এক আত্মীয় ও অনলাইনে ভিডিও দেখার মাধ্যমে উগ্রবাদে অনুপ্রাণিত হন। তিনি গত জুন মাসে ঢাকায় সিরাজের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর প্রায় দুই মাস আগে নিখোঁজ হন।

আর এক প্রশ্নের জবাবে নিখোঁজ হওয়া তরুণদের সম্পর্কে পরিবারদের তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে কমান্ডার মঈন বলেন, তারা কাটআউট পদ্ধতিতে কাজ করছিল। অনেক সদস্য এখনো ধরা পড়েনি। হয়তো কেউ কেউ পরিবারে ফিরেও যেতে পারে। আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। আর জঙ্গি হামলা হবে না এমনটা আমরা কখনো বলিনি। আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান আছে। হিন্দুদের বড় উৎসব গেলো, তেমন কিছু ঘটেনি। এই নতুন মঞ্চের দক্ষিণাঞ্চলের নেতাসহ কয়েকজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। এখন পর্যন্ত কতজন সদস্য সক্রিয় সে সম্পর্কে শক্ত কোনো তথ্য আমরা এখনো পাইনি।

মঈন বলেন, স্টেপ টু স্টেপ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একটি স্তর পার হওয়ার পর পরের স্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘড়ছাড়া তরুণদের মূলত সুপ্ত চিন্তাকে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে জঙ্গিবাদে। স্বশস্ত্র সংগ্রামের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে চরাঞ্চলে। তাদের আরও নতুন নতুন প্রশিক্ষণের পরই উপরের ধাপে উত্তীর্ণ করার প্রক্রিয়া চলছিল।

কাদের উপর হামলা চালানোর জন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে জানতে চাইলে কমান্ডার মঈন বলেন, বিচার বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রমের বিরুদ্ধে উগ্রবাদে তরুণদের মোটিভেট করা হচ্ছিল। হিজরত করা তরুণদের আইসোলেশনে রেখে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধের জন্য ক্রোধ-ক্ষোভকে কাজে লাগানোই ছিল প্রথম কৌশল। আমরা এই নতুন সংগঠনের মধ্যম সারির বেশ কয়েকজনের নাম পেয়েছি। তারা বিভিন্ন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন থেকে এখানে এসে নেতৃত্বে গেছে। তাদের আটকে অভিযান চলছে। এই সংগঠন নিষিদ্ধ নয়, অন্য সংগঠনের চেয়ে এটা শক্তিশালী। তারাই মূলত মানিয়ে চলার জন্য পেশাদারি ও কারিগরি প্রশিক্ষণের পাশাপাশি স্বশস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

জেএমবি ও আনসার আল ইসলামের মতপার্থ্যক্য রয়েছে। নতুন এই মঞ্চ পূর্বাঞ্চলীয় হিন্দের জামাতুল আনসার কেন বলছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই সংগঠনের যদি যুক্ত হয় তরুণরা তাহলে উদ্দেশ্য সফল হবে। বনি আমিন, হোসাইন ও নেছাররা আনসাল আল ইসলামে উদ্বুদ্ধ ছিল। কিন্তু আনসার আল ইসলাম নিষিদ্ধ হওয়ায় জঙ্গিবাদের প্রচার-প্রচারণার জন্য নতুন মঞ্চের যোগ দিয়ে নেতৃত্বে যায়। কয়েকটি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের কয়েকজন এখানে এসেছে। তাদের কার্যক্রমের বড় অংশটি চট্টগ্রামের পাহাড়ী এলাকায় চলছে বলে জানান মঈন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০২২
এমএমআই/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।