ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল এবং ধান ৮০ শতাংশ পরিপক্ব হলেই কাটাসহ ১০টি নির্দেশনা দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষিতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় জরুরি প্রস্তুতিমূলক সভায় এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা হচ্ছে- জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল দপ্তর/সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল এবং সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে অবস্থানের নির্দেশ। সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কৃষি বিভাগের অফিসে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা। ঘূর্ণিঝড় পূর্ব প্রস্তুতি ও পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া এবং উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক মাঠে অবস্থান করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট দেওয়া। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অগ্রিম প্রস্তুত করে রাখা, যাতে করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কৃষকদের পুনর্বাসনে সহায়তা দেওয়া যায়। যেসব এলাকায় আমন ধান ৮০ শতাংশ পেকেছে সেগুলো কাটার জন্য পরামর্শ দেওয়া। উপকূলীয় এলাকায় ফসলের জমিতে পানি ঢুকলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পানি নিস্কাশনের জন্য ব্যবস্থা করা।
জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক সমন্বয় সাধন। স্লুইচ গেট অপারেশনের মাধ্যমে লবণাক্ত পানি শস্য ক্ষেতে ঢোকা রোধ করতে হবে। অধিক উচ্চতায় জোয়ারের কারণে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করলে তা নিষ্কাশনের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। এ বিষয়ে কৃষি বিভাগ নিয়মিতভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে।
কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অতিরিক্ত সচিব, (সম্প্রসারণ) রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা), অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা), মহাপরিচালক (বীজ)-সহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সংস্থা প্রধান এবং ঘূর্ণিঝড়প্রবণ জেলাগুলোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪,২০২২
জিসিজি/এমএমজেড