ঢাকা, সোমবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বাগানের নালায় পড়েছিল সাব্বিরের মরদেহ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২২
বাগানের নালায় পড়েছিল সাব্বিরের মরদেহ মরদেহ ঘিরে স্থানীয়রা।

রাজশাহী: নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর আম বাগান থেকে সাব্বির হোসেন (১৬) নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম গ্রামীণ ব্যাংকের পেছনে তুলসিপুর গ্রামের আম বাগানের নালায় পড়েছিল ওই কিশোরের মরদেহ।

 

সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর পুলিশ বুধবার (২ নভেম্বর) দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

মৃত সাব্বির হোসেন বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের আড়পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র। তার বাবার নাম হায়দার আলী।

পরিবারের বরাত দিয়ে রাজশাহীর বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সাব্বির হোসেন রোববার (৩০ অক্টোবর) স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফিরে। বিকেল ৪টার দিকে বাবার ব্যাটারিচালিত রিকশাভ্যান নিয়ে ভাড়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু তার পর আর বাড়ি ফেরেনি। এরপর বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পায়নি তার পরিবার। এ ঘটনায় ওই দিনই সাব্বিরের চাচা শরীফুল ইসলাম বাঘা থানা একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

ওসি আরও বলেন, সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের আটঘরিয়া এলাকার চারঘাট ঈশ্বরর্দী সড়কের পাশের আমবাগান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় সাব্বিরের বাবার রিকশাভ্যানটি ব্যাটারিবিহীন অবস্থায় পাওয়া যায়। আর নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর আজ সকালে মনিগ্রাম গ্রামীণ ব্যাংকের পেছনে তুলসিপুর বজলু মাস্টারের আম বাগানের নালার মধ্যে সাব্বিরের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

ওসি বলেন, সাব্বির হোসেনের চাচা শরীফুল ইসলাম লিখিত অভিযোগে বলেছেন- তার ভাই রিকশাভ্যান চালিয়ে সংসার চালায়। কোনো কোনো সময় স্কুল ছুটির পর ভাতিজা আশপাশে ওই ভ্যান নিয়ে ভাড়ায় চালায়। সেই টাকা তার বাবাকে দেয়। আর এই ভ্যান চালানোই কাল হলো সাব্বির হোসেনের। প্রাথমিকভাবে তাদের ধারণা ওই রিককশাভ্যানের ব্যাটারির জন্যই দুর্বৃত্তরা তার ভাতিজাকে নির্মমভাবে খুন করেছে।

একই সন্দেহের কথা উল্লেখ করে রাজশাহীর বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে প্রথমে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। প্রাথমিকভাবে তাদের কাছেও মনে হয়েছে ব্যাটারি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই সাব্বিরকে হত্যা করে তার মরদেহ আম বাগানের নালার মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছিল।  

এ ঘটনায়  সাধারণ ডায়েরি এখন হত্যা মামলায় রূপ নেবে। তাই ময়নাতদন্তের জন্য স্কুলছাত্রের মরদেহটি রামেকের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২২
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।