ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বেগুন নিয়ে গবেষণার অপব্যাখ্যা, খুবি শিক্ষক সমিতির প্রতিবাদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২২
বেগুন নিয়ে গবেষণার অপব্যাখ্যা, খুবি শিক্ষক সমিতির প্রতিবাদ

খুলনা: সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হওয়া টক শো’য় বেগুন গবেষণা নিয়ে তিন সাংবাদিকের অপব্যাখ্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষক সমিতি।

রোববার (৬ নভেম্বর) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন ও যুগ্ম সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. মতিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বুধবার (২ নভেম্বর) ওই টেলিভিশনে প্রচারিত একটি টক শো’য় ‘হিউম্যান হেলথ ইমপ্লিকেশন অব ট্রেস মেটাল কনটামিনেশন ইন টপ সয়েলস অ্যান্ড ব্রিঞ্জাল ফ্রুটস হারভেস্টেড ফ্রম এ ফেমাস ব্রিঞ্জাল-প্রডিউসিং এরিয়া ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণা নিয়ে সাইন্টিফিক রিপোর্টস জার্নালে প্রকাশিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেনের একটি গবেষণা নিবন্ধের অপব্যাখ্যা করা হয়। টক শো’র সঞ্চালকসহ তার অন্য দুজন সহকর্মী অবিজ্ঞানসুলভ কথাবার্তা ও আক্রমণাত্মক বাক্যবাণে সংশ্লিষ্ট গবেষককে নাজেহাল ও অসম্মানিত করেছেন।

এ ধরনের অপব্যাখ্যামূলক, আক্রমণাত্মক ও অবিজ্ঞানসুলভ কথাবার্তা প্রমিত সাংবাদিকতা ও স্বাভাবিক সৌজন্যতার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।  

সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের যেভাবে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ আছে বোধ করি, অন্য কোনো পেশায় সে সুযোগ নেই। কাজেই সংবাদমাধ্যমগুলো সুযোগ্য মানুষদের বিচরণে মুখরিত হোক।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির প্রত্যাশা এই, সাংবাদিকতার মহান চর্চায় সৌজন্য, সম্মান ও জ্ঞান নির্ভরতার প্রাধান্য পাবে।

ওই টক শো’য় দেখা যায়, অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেনকে সঞ্চালক বেগুনে ক্ষতিকর পদার্থ পাওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করেন। তিনি এর ব্যাখ্যা দেওয়া শুরু করলে তিন সাংবাদিক তাকে চেপে ধরেন। একজন জাকির হোসেনকে প্রশ্ন করেন, আপনারা বেগুন নিয়ে কেন গবেষণা করলেন। ঝিঙা নিয়ে নয় কেন। ওই প্রশ্নকারীই আবার অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেনকে ফৌজদারি অপরাধ করেছেন বলে মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালক জাকির হোসেনকে বার বার প্রশ্ন করছেন। তাকে তার উত্তর বা ব্যাখ্যা দিতে কার্যত সুযোগ দিচ্ছিলেন না। বেগুনে ক্ষতিকর পদার্থ পাওয়া গেলে সাধারণ মানুষের কী করা উচিৎ- এমন প্রশ্ন করা হলে সেটির উত্তর দিতে চেষ্টা করেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক। কিন্তু তারপরও বিভিন্ন অবান্তর প্রশ্ন করে তাকে অনেকটা বেকায়দায় ফেলে দেন সঞ্চালক। তিনি প্রশ্নের উত্তর পাননি দাবি করেন। এও বলেন, জন সাধারণকে দেওয়ার মতো কোনো তথ্য তিনি পাননি।

পরবর্তীতে অধ্যাপক জাকির তার প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিতে চান। এ সময় সঞ্চালক তার মেসেজে পেয়েছেন দাবি করে অনুষ্ঠান শেষ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২২
এমআরএম/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।