ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ নিহতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, ফারদিন গত ৪ নভেম্বর নিখোঁজ হন। ৫ নভেম্বর তার বাবা রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর থেকেই আমরা ছায়া তদন্ত শুরু করি। গত ৭ নভেম্বর ফারদিনের মরদেহ শীতলক্ষ্যা নদ থেকে উদ্ধারের দুদিন পর বুধবার (৯ নভেম্বর) রাতে তার বাবা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
মামলায় বুশরা নামে এক শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে, তিনি ফারদিনের বান্ধবী। তাকে এর আগেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। মামলার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে পারিবারিক, সামাজিক কোন ঝামেলা ছিল কি-না তা আমরা খোঁজ করছি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই-বাছাই চলছে। ঘটনাটি কিভাবে ঘটছে আমরা এখনই বলতে পারছি না। একটু সময় লাগবে। আমাদের দুই তিনটি টিম কাজ করছে প্রতিদিন। আরও পারিপার্শ্বিক বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করা হচ্ছে।
গত ৪ নভেম্বর রাতে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় বান্ধবী বুশরাকে বাসায় যাওয়ার জন্য এগিয়ে দেন ফারদিন। এরপর থেকেই নিখোঁজ হন ফারদিন। ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় বুধবার (৯ নভেম্বর) দিনগত রাতে ডিএমপির রামপুরা থানায় ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে ছেলে হত্যার অভিযোগ এনে বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকালে ফারদিন নূর পরশের বান্ধবী বুরশাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন তাকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে রামপুরা থানা পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২২
পিএম/এসএ