ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সিলেট বিভাগের ৪০ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ২৩ লাখ টাকা জরিমানা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২২
সিলেট বিভাগের  ৪০ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ২৩ লাখ টাকা জরিমানা

সিলেট: ছাড়পত্রের শর্তভঙ্গ করে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ায় সিলেট বিভাগের ৪০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ২৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এরমধ্যে সিলেট নগরের পাঁচভাই ও পানসীসহ চার রেস্টুরেন্টকে পৌনে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

রোববার (১৩ নভেম্বর) পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এমরান আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) পরিবেশ অধিদপ্তর, সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ে এনফোর্সমেন্ট শুনানি শেষে ৫০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১৯ লাখ ৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করা হয়। সংস্থার ছাড়পত্র ছাড়া প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতি করায় পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ (সংশোধিত -২০১০) এর ১২ ধারা লঙ্ঘনসহ নানা কারণে এই জরিমানা করা হয়।

এরমধ্যে সিলেট নগরের উপশহরের প্রেসিডেন্ট রেস্টুরেন্টকে এক লাখ, দক্ষিণ সুরমার পানসী রেস্টুরেন্টকে ৩৫ হাজার, পানসী রেস্টুরেন্ট জিন্দাবাজার শাখাকে ৪০ হাজার, পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্টকে এক লাখ, সিলেটের বিসিক উত্তরা মোটর্সকে ১ লাখ টাকা, গোটাটিকর নিটল মোটর্সকে ২০ হাজার টাকা, জাফলং বিসমিল্লাহ স্টোন ক্রাশারকে ১০ হাজার টাকা, বি,এস স্টোন ক্রাশারকে ৫০ হাজার টাকা, নিউ কুমিল্লা স্টোন ক্রাশারকে ৫০ হাজার টাকা, ফাহিমা স্টোন ক্রাশারকে ৫০ হাজার টাকা, জমির স্টোন ক্রাশারকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করা হয়।

এছাড়া পাহাড়/টিলা কাটার অপরাধে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত-২০১০) এর ধারা-৬ (খ) লঙ্ঘন করে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতি করার দায়ে গোলাপগঞ্জের শাহেদ আহমেদ এবং আ. সামাদকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, একই এলাকার বনখেলী গ্রামের লায়েক আহমদকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সেই সঙ্গে সুনামগঞ্জ সিলভিয়া  ফিলিং স্টেশনকে ২০ হাজার টাকা, ছাতক এ. কে ফিলিং  স্টেশনকে ৫০ হাজার টাকা, ছাতকের কিবরিয়া কমিউনিটি সেন্টারকে এক লাখ টাকা, সুনামগঞ্জ সদরের তাহমিদ অটো রাইছ মিলকে ৩০ হাজার টাকা, একই এলাকার মা অটো রাইছ মিলকে ২০ হাজার টাকা, নূর অটো রাইছ মিলকে ৪০ হাজার, দিরাই আলমাস স মিলকে ১০ হাজার টাকা, একই এলাকার মোহাম্মদী স মিলকে ২৫ হাজার টাকা এবং রাসেল স মিলকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

আর মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল হোটেল টনি প্যালেসকে ৫০ হাজার টাকা, একই এলাকার হোটেল ইছাকি এমোসকে এক লাখ টাকা, সুলতান রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড গেস্ট হাউজকে ১৫ হাজার টাকা, হোটেল মহসিন প্লাজাকে এক হাজার টাকা, সানজিদা ডোর অ্যান্ড ফার্নিচারকে ১০ হাজার টাকা, এনাইড ফুড লিমিটেডকে ২০ হাজার টাকা,  বড়লেখা উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নে পাহাড় থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের অপরাধে ৫ জনকে ৪০ হাজার টাকা করে ২ লাখ টাকা, পাহাড়/ টিলা কাটার দায়ে ৪ জনকে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার হাজী আবিদ উল্লাহ অটো রাইছ মিলকে ৫০ হাজার টাকা, মাধবপুর ম্যাটাডোর প্লাস্টিক অ্যান্ড রাবারকে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এনফোর্সমেন্ট শুনানিতে প্রসিকিউশনের দায়িত্বে ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক মো. বদরুল হুদা, বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক  মো.আলমগীর, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম পাটওয়ারি, সহকারী পরিচালক মো. মোহাইমিনুল হক।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২২
এনইউ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।