ঢাকা, সোমবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভাবনী উদ্যোগেই বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২২
‘প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভাবনী উদ্যোগেই বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে’

রাজশাহী: রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ (এনডিসি) বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি যুগোপযোগী উদ্ভাবনী উদ্যোগের কারণেই আজকে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ ডিজিটাল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে।

 
    
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল মাঠে দুই দিনব্যাপী (১৫ ও ১৬ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা ২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীকে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার উল্লেখ করে জাফরউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ দিয়েছেন, শেখ হাসিনা দিয়েছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ আর তারই সুযোগ্য তনয় সজীব ওয়াজেদ জয় হলেন স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকার। তিনি সব সময় নতুন নতুন ধারণা দিয়ে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তিকে আজকের উচ্চতায় নিয়ে এসেছেন।

তিনি বলেন, আমরা এখন গর্বের সঙ্গে বলতে পারি বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। এবার স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হওয়ার পালা।

প্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগিয়ে আমাদের নিত্য নতুন উদ্ভাবন করতে হবে মন্তব্য করে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, এখন পৃথিবীর জনসংখ্যা আটশ কোটি। একশ বছর আগে যেখানে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল দুইশ কোটি, আজকে সেখানে একশ বছরের ব্যবধানে জনসংখ্যা বেড়েছে চারগুণ। তাই ডিজিটালভাবে স্মার্ট হওয়ার বিকল্প নেই। সেজন্য এখন বিশ্বব্যাপী স্মার্ট হওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ইতোমধ্যে অনেক এগিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এখন খাদ্য উৎপাদন করে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। মাছ উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছি। এছাড়া বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনে বিশ্বে প্রথম দিকে জায়গায় করে নিতে পেরেছি। এখন আমরা স্মার্ট প্রযুক্তিতে যাব আর এটা করতে পারলে বাংলাদেশ বিশ্বের দুইশটি দেশের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে জায়গা করে নিতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিভাগীয় কমিশনার।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরএমপির কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. নাসির উদ্দিন, রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ড. মোসা. নূরজাহান বেগম দেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রবিউল হক। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জয়া মারিয়া পেরেরা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।
   
উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে উদ্ভাবকদের উদ্ভাবনী সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তিবান্ধব নানাবিধ উদ্ভাবনের মাধ্যমে নাগরিক জীবনকে আরও সহজ ও সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে এ মেলার আয়োজন করা হয়।

এবারের মেলায় উদ্ভাবনী উদ্যোগ ও স্টার্টআপ (উদ্ভাবক ও শিক্ষার্থী), ডিজিটাল সেবা (সরকারি অফিসসমূহের সেবা), হাতের মুঠোয় সেবা (ডিজিটাল সেন্টারের সেবা যেমন- এজেন্ট ব্যাংকিং একশপ, সরকারি-বেসরকারি ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা ইত্যাদি) এবং শিক্ষা, দক্ষতা, উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান (শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিসিক, কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ইত্যাদির উদ্ভাবনী উদ্যোগ) বিষয়ে চারটি প্যাভিলিয়ন স্থাপন করা হয়।

মেলায় চারটি প্যাভিলিয়নে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন উদ্ভাবনী কর্মপরিকল্পনা ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর তাদের ডিজিটাল সেবাসমূহ প্রদর্শন করে। আগামী বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে এ মেলার সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২২
এসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।