ঢাকা, শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রংপুরে চেক জালিয়াতির মামলায় ইউএনও অফিসের ৩ সহকারী কারাগারে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২২
রংপুরে চেক জালিয়াতির মামলায় ইউএনও অফিসের ৩ সহকারী কারাগারে

রংপুর: চেক জালিয়াতির মামলায় রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের তিন অফিস সহকারীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন।

এর আগে গতকাল রোববার বিকেলে তারা রংপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শওকত আলীর আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন তিনি।

আসামিরা হলেন- পীরগঞ্জ ইউএনও অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মোখলেছুর রহমান, সাইদুর রহমান ও আসাদুজ্জামান। এছাড়া উপজেলার চাঁপাবাড়ী গ্রামের আব্দুর লতিফের ছেলে শফিকুল ইসলাম ও ছোট মির্জাপুর গ্রামের আনিছার মণ্ডল।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২২ জুন থেকে ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সোনালী ব্যাংকের ১০টি চেকের পাতা চুরি হয়। ওই চেক ছিল ইউএনও অফিসের সরকারি অনুদান ও সাহায্য সংক্রান্ত। আর চেক চুরির সঙ্গে জড়িত ছিল ইউএনও অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মোখলেছার রহমান, সাইদুর রহমান ও আসাদুজ্জামান। তারা ওই চেকগুলোতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করেন। তবে তারা নিজে ব্যাংকে গিয়ে টাকা না তুলে কৌশলের আশ্রয় নেন। এ জন্য তারা শফিকুল ইসলাম ও আনিছার মণ্ডলকে দিয়ে সোনালী ব্যাংক স্থানীয় শাখার ৫০১৮৭০২০০১৪৫৪ হিসাব নম্বর থেকে ৭টি চেকে ৩৫ হাজার টাকা উত্তোলন করেন।

বিষয়টি জানাজানি হলে গত ৩ অক্টোবর শফিকুল ইসলাম ও আনিছার মণ্ডলকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে আসা হয়। পরে তারা ইউএনওর সামনে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মোখলেছুর রহমান, সাইদুর রহমান ও আসাদুজ্জামানের মাধ্যমে চেক পেয়ে টাকা তুলেছেন বলে স্বীকার করেন। এ ঘটনায় ইউএনও তাদের পুলিশে সোপর্দ করলেও তিন কর্মচারী পালিয়ে যায়। পরে ওই দিনই প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন চন্দ্র মহন্ত বাদী হয়ে তিন কর্মচারীসহ পাঁচজনকে আসামি করে পীরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদী ও উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন চন্দ্র মহন্ত বলেন, গ্রেফতার দুই ব্যক্তি ইউএনওর সামনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সেখানে তারা অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মোখলেছার রহমান, সাইদুর রহমান ও আসাদুজ্জামানের জড়িত থাকার কথা বলেছেন। এর পরেই ইউএনও'র নির্দেশে ওই তিন কর্মচারীসহ পাঁচ জনের নামে মামলা দায়ের করি।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।