খুলনা: খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে রোববার (২৭ নভেম্বর)। নির্বাচনের মাত্র একদিন আগে এক পক্ষ অন্য পক্ষের দিকে আঙুল তুলছে।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে এক পক্ষ অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।
এদিন দুপুরে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবিতে খোকন ও শহিদ পরিষদ সংবাদ সম্মেলন করে। সেখানে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। অপরদিকে সাইফুল ও তারা পরিষদ সংবাদ সম্মেলনে প্রতিপক্ষ পরিষদের দাবিকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলেছে।
দুপুর একটার দিকে আইনজীবী সমিতির বাইরে রাস্তায় সংবাদ সম্মেলন করে খোকন ও শহিদ পরিষদ। সেখানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি গাজী আব্দুল বারি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আইনজীবী সমিতি প্রতি বছর নির্বাচন স্বচ্ছ, সুন্দর, আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। পূর্বসূরীরা সমিতির গঠনতন্ত্রে নির্বাচনের কিছু আচারণবিধি যুক্ত করে গেছেন, যা লঙ্ঘন করলে প্রার্থীতা বাতিলসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা আছে, কোনো আইনজীবীর বাড়িতে বা সমিতি ভবনের বাইরে কারও চেম্বারে ভোট প্রার্থনা করতে যাওয়া যাবেনা। কোনো পোস্টার বা বিল বোর্ড প্রদর্শন করা যাবে না। আইনজীবী ব্যতিত কেউ অতিথি হিসেবে প্রজেকশন মিটিং এ উপস্থিত থাকতে পারবে না। সমিতির মধ্যে বা বাইরের কোনো প্রার্থী উপঢৌকন দিতে পারবে না। কোন দলীয় বা গোষ্ঠীর নামে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন অনুষ্ঠান বা সভা আহ্বান করতে পারবে না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আইনজীবী সমিতি ২০২৩ এর বার্ষিক নির্বাচনে বর্তমান সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক তারিক মোহাম্মাদ তারা নিজেদের ইচ্ছামতো মো. লিয়াকত আলী মোল্লাকে চেয়ারম্যান নিযুক্ত করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। নির্বাচন আচারণবিধি লংঘন করে তারা সমগ্র আদালত চত্বরে বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেষ্টুন ও গেটসহ সমিতির নির্বাচনকে ট্রেড ইউনিয়নের নির্বাচন পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সভাপতির চেম্বার থেকে মূল্যবান স্যুটপিচ ও নগদ টাকা সবার সামনেই বিলি করা হচ্ছে।
অপরদিকে দুপুর পৌনে ২ টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করেন বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সভাপতি প্রার্থী মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, আইনজীবী সমিতি একটি পেশাজীবী সংগঠন। এখানে কোনো কারচুপি হয়না। নির্বাচনে পরাজয় জেনে তারা কুৎসা রটনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রতিপক্ষ পরিষদ আইনজীবীদের সম্মান নিয়ে খেলা করছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, জোয়ার্দ্দার খোকন-শহিদুল পরিষদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিচ্ছেন, নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিভিন্ন মামলার আসামিদের নিয়ে গভীর রাত অবধি সমিতিতে প্রচার কাজে অংশ নিচ্ছেন। নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। তারপরও আমারা চাই একটি সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২২
এমআরএম/এসএ