ঢাকা: ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও কমনওয়েলথের পর এবার নির্বাচন পর্যবেক্ষণে না আসার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক সঙ্কটে হতাশা প্রকাশ করে এই সিদ্ধান্ত জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
রোববার স্থানীয় সময় বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জেন সাকি এক বিবৃতিতে এ কথা জানান
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের প্রতি নিজেদের অঙ্গীকার তুলে ধরার একটি সুযোগ বাংলাদেশের রয়েছে।
জেন সাকি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র হতাশার সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, এ ধরনের নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো এখনও কোনো মতৈক্যে পৌঁছাতে পারেনি। আবার ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের অর্ধেকেরও বেশি সংসদীয় আসন প্রতিদ্বন্দ্বীহীন রয়ে গেছে। এমতাবস্থায়, এই নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। তবে অনুকূল পরিবেশে পর্যবেক্ষক পাঠাতে আমরা এখনও প্রস্তুত।
বিবৃতিতে বলা হয়, আলোচনা অব্যাহত রাখা এবং বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে একটি যথাযথ সমাধান খোঁজার প্রচেষ্টা আরও জোরদার করার জন্য প্রধান দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র সাকি বলেন, সহিংসতা ও ভীতিমুক্ত পরিবেশে নিজেদের জাতীয় প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ বাংলাদেশের জনগণের প্রাপ্য। দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং নেতৃত্ব প্রদানে আকাঙ্ক্ষা পোষণ করেন এমন ব্যক্তিদের আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে এবং সহিংসতা, উস্কানিমূলক বক্তব্য ও ভয়ভীতি প্রদর্শন থেকে বিরত থাকতে হবে। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণের জন্য সকল রাজনৈতিক দল ও বাংলাদেশের নাগরিকদের অনুপ্রাণিত করে যুক্তরাষ্ট্র। গণতন্ত্র বিধ্বংসী সহিংসতা গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের মতামত প্রকাশ করার অধিকার সকল রাজনৈতিক দল ও বাংলাদেশের নাগরিকদের রয়েছে। এর সুযোগ করে দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। একইভাবে এই সুযোগের শান্তিপূর্ণ ব্যবহার বিরোধী দলের দায়িত্ব।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৩
সম্পাদনা: হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর