নিউইয়র্ক: বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া গৃহবন্দি এমন কোনো তথ্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে নেই বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দফতরের উপ-মুখপাত্র মিস মেরি হার্ফ।
নিউইয়র্ক সময় বৃহস্পতিবার দুপুরে স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন।
তবে তেমন কোনো কিছু থাকলে তার দফতরের সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জানতে পারবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, আমি মনে করি না, আমার কিছু বলার রয়েছে।
বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে এরই মধ্যে অনেক প্রার্থীর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়ার বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে দেখছে, এ প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, যা ভবিষ্যতে বলা হবে, তা নিয়ে (But I don’t want to prejudge the outcome or what we will say afterwards) নিয়ে আগাম বিচার করতে চাই না।
নির্বাচনের ফলাফল দেখে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের যে অবস্থান এখন তা আগ বাড়িয়ে বলা ঠিক নয় বলে জানান তিনি।
তবে তিনি বলেন, এটা পরিষ্কার করেছি, অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নিবাচন অনুষ্ঠান নিয়ে প্রধান দুটি দল এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, যা শুভ লক্ষণ নয়।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, কিন্তু সহিংসতা গ্রহণযোগ্য নয়। কখনোই তা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, এটা গণতন্ত্রকে (আন্ডার মাইন্ড) চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করে।
মিস মেরি হার্ফ প্রশ্নোত্তরে বলেন, আমরা উপলদ্ধি করি, এ সপ্তাহে সংসদ নির্বাচন। আমরা কোনো পর্যবেক্ষক নিয়োগ করবো না এ নির্বাচনে। আমার খুবই হতাশ এ কারণে যে, প্রধান দুই দল এখনো অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে ঐকমত্যে আসতে পারে নি।
বাংলাদেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সম্পর্কে বলতে গিয়ে মিস মেরি হার্ফ বলেন, নতুন কিছুই নেই। তবে আগের বক্তব্যেরই পুনরাবৃত্তি করতে চাই। অন্য যে কোনো কিছুর চেয়ে সবার আগে প্রধান দুই দলকে সংলাপে বসানোর চেষ্টা বাড়িয়ে দেওয়া অতি জরুরি। প্রধান দুই দলের উচিত, সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ প্রশস্ত করতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৪
সম্পাদনা: আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর/জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর