নিউইয়র্ক: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেস্টা, সাবেক প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ.কে আব্দুল মোমেন বলেছেন অনুকরণীয় আদর্শ ব্যক্তিত্বের মৃত্যু নেই।
এক শোকবাণীতে ড. মোমেন মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান শনিবার রাতে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)।
ড. আব্দুল মোমেন তার শোক বাণীতে বিচারপতি হাবিবুর রহমানের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্কের স্মৃতিচারণ করে বলেন, তিনি ছিলেন বিবেকের প্রতিবিম্ব। তিনি সত্য বলতে কখনো কুন্ঠিত হননি।
এসময় ড. মোমেন গত ১ জানুয়ারি ‘ইথিক্স ডে’র আলোচনা সভায় বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের দেশ ও জাতির উন্নয়নে দেওয়া দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্যের কথা স্মরণ করেন। ড. মোমেন বলেন, সাবেক এই বিচারপতি সমাজ, রাজনীতি, ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সাহিত্য বিষয়ে নিয়মিত কলাম ও নিবন্ধ লিখতেন। লেখনির মাধ্যমে তিনি ঘুমন্ত বিবেককে জাগ্রত করে দিতেন।
দেশের বিচার ব্যবস্থায় বিচারপতি হাবিবুর রহমানের অবদান চিরস্মরনীয় হয়ে থাকবে বলে মত দিয়ে ড. মোমেন বলেন, ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি অপশক্তির কাছে মাথানত না করে যে সাহসী দায়িত্বপালন করেছিলেন জাতি তার প্রতি চির কৃতজ্ঞ থাকবে।
মরহুম প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ছাত্রজীবন থেকে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক মানষচিত্ত ধারন, লালন ও পালন করতেন। যে কারণে দেশের প্রতিটি সংকটে তিনি ন্যায়ের পক্ষে দাড়িয়ে নির্দেশনামূলক বক্তব্য রেখেছেন। তার অনুপস্থিতি আমাদের জন্য অপুরনীয় ক্ষতি হয়ে গেল, বলেন ড. মোমেন।
তিনি বলেন, বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের বক্তব্যের যে বলিষ্ঠতা, দর্শন, দিক নির্দেশনা ছিলো তা সঙ্কটে ও প্রয়োজনের মুহুর্তে আগামী দিনেও আমাদের পথ দেখাবে।
ড. মোমেন বলেন, সদা বিবেচক এই মহৎ মানুষটির সঙ্গে ১৯৯৮ সালে ফোবানা সম্মেলনের সময় খুব ঘনিষ্ঠ হই। তখন থেকেই তার দেশাত্ববোধ আমার হৃদয়ের গভীরে সার্বক্ষণিক অনুরণনের জন্ম দেয়। আমরা প্রায়শই বলি কীর্তিমানের মৃত্যু নেই। প্রয়াত শ্রদ্ধেয় বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের ক্ষেত্রে এই দর্শন আক্ষরিক অর্থেই কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ সময় ১০২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৩
এমএমকে