ঢাকা: একাত্তরে ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া গ্রিন সিগন্যালের পর পুরো জাতি মুক্তির মিছিলে সমবেত হয়েছিল। কেননা এ ভাষণেই মুক্তিসংগ্রাম পরিচালনার সার্বিক নির্দেশনা ছিল।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণের পর নিরস্ত্র বাঙালি সেদিন সত্যিই কাঙ্খিত স্বাধীনতার লক্ষ্যে ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তুলেছিলো। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর বাঙালির এই প্রস্তুতি জাতির জনকের নেতৃত্বের প্রতি দৃঢ় আস্থা ও প্রত্যয়ের পরিচয় বহন করে।
তাই ৭ মার্চের ভাষণের অনর্জিত লক্ষ্য অর্থনৈতিক মুক্তি এবং আত্মমর্যাদাশীল জাতি গঠন করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান ড. মোমেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সময় শুরু হওয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ ব্যহত করতে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে একাত্তরের মতো জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
আলোচনায় মিশনের উপ স্থায়ী প্রতিনিধি মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর আর দ্বিতীয় কোনো স্বাধীনতার ঘোষণার প্রয়োজন ছিল না।
ইকনোমিক মিনিস্টার বরুন দেব মিত্র বলেন, বঙ্গবন্ধুর সেদিনের দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্যে বাঙালি জাতি প্রকৃত মুক্তির পথ খুঁজে পেয়েছিল। তাদের আর পেছনে তাকাতে হয়নি।
প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম আখতারউজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধুর সেদিনের ভাষণে নিরস্ত্র বাঙালি দিশা খুঁজে পেয়েছিল।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মিশনের প্রথম সচিব জামাল উদ্দিন আহমেদ। এর আগে সভার শুরুতে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৪