নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ‘ব্যুরো অফ কনফ্লিক্ট এন্ড স্ট্যাবিলাইজেশন অপারেশন’ (সিএসও) তার বার্ষিক রিপোর্টে বলেছে, সহিংসতা এবং অস্থিতিশীলতাই বাংলাদেশের বড় সমস্যা।
ধর্মীয় ভিত্তিতে ‘বৈষম্য’, ‘হাঁপিয়ে ওঠা’ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সহিংস আচরণ এবং ‘বৃদ্ধি’ (সংখ্যায়) পাওয়া তরুণ সমাজকে দিক নির্দেশনা দিতে ১৮০ মিলিয়ন জনসংখ্যার বাংলাদেশ হিমশিম খাচ্ছে।
মার্কিন দূতাবাসের দিক নির্দেশনায় ‘ব্যুরো অফ কনফ্লিক্ট এন্ড স্ট্যাবিলাইজেশন অপারেশন’ বাংলাদেশে সংখ্যাঘুদের উপর হুমকি বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ‘ব্যুরো অফ কনফ্লিক্ট এন্ড স্ট্যাবিলাইজেশন অপারেশন’ তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে এই তথ্য দিয়েছে।
শুক্রবার প্রকাশিত এই রিপোর্টে বিশ্বব্যাপী ব্যুরোর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আরো বলা হয়েছে, গতানুগতিক কার্যক্রমের সামঞ্জস্যতায় ‘সংঘর্ষ এড়ানো এবং সংকটে সক্রিয়তা’ অতি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বিশেষত্ব।
‘কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোতে নারী,তরুণ সমাজ ও অন্যান্য স্থানীয় অগ্রসরমান নেতৃত্বের সম্ভাবনাকে উপলদ্ধি করে তথ্য সংরক্ষণে যোগাযোগের অবিশ্বাস্য অগ্রসরতা’র সুবিধা নেয়ায় বিশ্বাস করে সিএসও।
যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে থাকা ৪টি দেশের মধ্যে রয়েছে, কেনিয়া, সিরিয়া, হন্ডুরাস এবং বার্মা।
বার্মা’র রাখাইন ও কায়াহ রাজ্যে শান্তি’র ব্যাপ্তি ঘটিয়েছে সিএসও। এসব দেশের বাইরে অতিরিক্ত হিসেবে বাংলাদেশ,নাইজেরিয়া,সেনেগালেও কাজ করে সফলতা দেখিয়েছে সিএসও।
প্রতিকূল পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কার্যকারিতা এবং সামঞ্জস্যতা’র উন্নতি সাধনে গত ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই ব্যুরো।
‘সহিংসতার চক্র’ (সাইকেল অব ভায়োলেন্স) ভাঙতে প্রতিষ্ঠালগ্নে এর ৩টি লক্ষ্য ছিল-যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি অথবা চারটি দেশে ‘ইমপ্যাক্ট’ বা অবস্থান, সম্মানজনক টিম ও বিশ্বাসী অংশীদারিত্ব তৈরি এবং লক্ষ্যে পৌঁছাতে উদ্ভাবনী ও প্রাণবন্ত হওয়া।
বিশ্লেষণ,কৌশল ও কার্যক্রম সংঘর্ষের সাথে সম্পর্কিত এই তিনটি ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ কাজে লাগিয়ে নীতিমালা ও কার্যক্রমের মধ্যে সংযোগ ঘটানো সিএসও’র লক্ষ্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৪