নিউইয়র্ক: কন্স্যুলেটের সহকর্মীদের কাউকে কিছু না জানিয়ে গোপনে নিউইয়র্ক ছেড়েছেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল মনিরুল ইসলাম। সংশ্লিষ্ট একটি দায়িত্বশীল কূটনৈতিক সূত্র এখবর নিশ্চিত করেছে।
এদিকে নিউইয়র্ক সময় সোমবার পর্যন্ত তার মোবইল ফোনটি খোলা পাওয়া যাচ্ছিল। মঙ্গলবার থেকে ফোনটি সরাসরি মেসেজে চলে যাচ্ছে। নিউইয়র্কের মূলধারার সংবাদ মাধ্যমগুলো মনিরুল ইসলামের ভাড়া বাসা’র ভবনের সামনে ক্যামেরা তাক করে অপেক্ষা করছে-এমন দৃশ্য সোমবারও সরেজমিনে দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রটি জানায়, গত সোমবার ২৪ মার্চ কন্স্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রথম জানতে পারেন মনিরুল ইসলাম মরোক্কোতে পৌছেছেন। সেখানে পৌছে বিভিন্নজনকে ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে তার মরোক্কো পৌছানোর খবর জানিয়েছেন। তবে তিনি কবে কখন কিভাবে তার নতুন কর্মস্থলে গেলেন সেব্যাপারে কেউই কিছু জানতে পারেন নি। সহকর্মীরা সবাই আশ্চার্যান্বিত হয়েছেন, কারো কাছ থেকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে বিদায়ও নেননি। অথচ ঢাকা থেকে নতুন কন্সাল জেনারেল শামীম আহসানের কাছে তার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েই বিদায় নেবার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
সূত্রমতে, কন্সাল জেনারেল মনিরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী’র অনুষ্ঠান একদিন আগে এগিয়ে এনে গত ১৬ মার্চ তড়িঘড়ি অনুষ্ঠান শেষ করেন। এদিন তিনি খুবই বিচলিত হয়ে ঘনিষ্ঠ জনের কাছে শুধু এটুকু বলেছিলেন ‘তার মাথা ঠিক নেই. তিনি খুবই ডিস্টার্বড। ’
তবে মনিরুল ইসলাম এমন পরিস্থিতি সম্পর্কে আগে থেকেই অবগত ছিলেন কিনা তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
মামলার খবর নিউইয়র্কের সংবাদ মাধ্যমে আসার আগ থেকেই তাকে ফোনে তার অফিসের কর্মকর্তারা ও পাচ্ছিলেন না বলে জানায় আরেকটি সূত্র।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে কাউকে পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার ২৫ মার্চ বিকেলে বাংলানিউজের পক্ষ থেকে স্টেট ডিপার্টমেন্টের বাংলাদেশ ডেস্কে ‘মেসেজ’ রাখলেও কোন উত্তর আসেনি এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৬