ঢাকা: বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের যৌথ আয়োজনে ‘মাইগ্রেশন ইন দি পোস্ট ২০১৫ ডেভেলপমেন্ট এজেন্ডা’ শীর্ষক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় সোমবার দুপুরে নিউইয়র্কের সুইজারল্যান্ড মিশনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ.কে আব্দুল মোমেন ও সুইজারল্যান্ড মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি পল সেগার যৌথ-সভাপতিত্ব করেন। তাছাড়া সভার কো-স্পন্সর ছিল সুইডেন, মেক্সিকো ও নাইজেরিয়া।
সভাটি ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ‘গ্লোবাল এক্সপার্ট মিটিং অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড পোস্ট ২০১৫ ডেভেলপমেন্ট এজেন্ডা’ এর ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠিত হয়।
এ প্রসঙ্গে সুইজারল্যান্ডের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, সভাটি মূলতঃ ঢাকায় অনুষ্ঠেয় সভার স্যাটেলাইট প্লাটফরম।
বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ড.এ.কে আব্দুল মোমেন সভায় ঢাকায় অনুষ্ঠেয় সভার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
তিনি বিশ্বায়ন প্রক্রিয়াতে মূলধনী দ্রব্যের অবাধ প্রবাহ ও ব্যবসায়িক নেতৃত্বের উপর শিথিল বিধিনিষেধের কথা উল্লেখ করেন।
বিশ্ব-শ্রম-বাজার যেসব বাধার সম্মুখীন, সে বিষয়ে সভার দৃষ্টি আকর্ষণ করে মোমেন অভিবাসীদের জন্য বৈষম্যহীন শ্রম-পরিবেশ ও তাদের অবস্থানের আইনগত স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে সর্বপ্রকার বঞ্চনা ও বৈষম্য নির্মূলের জন্য কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করেন। তিনি বলেন, ‘দেশান্তরী-গ্রহনকারী’ রাষ্ট্রগুলোকে অবশ্যই সর্বনিম্ন ব্যয়ে যাতে ‘দেশান্তরী শ্রমজীবী মানুষ’ অর্থ স্থানান্তর করতে পারে, সে বিষয়ে যত্নবান হতে হবে। পাশাপাশি ‘দেশান্তরী-প্রেরণকারী’ দেশগুলোকে এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে যেন দেশান্তরী-রা ‘রেমিট্যান্স’ যথাযথভাবে ব্যবহার ও বিনিয়োগে সক্ষম হয়।
সভায় ১৫ দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও ৫টি দেশের উপস্থায়ী প্রতিনিধি ছাড়াও ২০টি দেশের বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও পেনালিস্ট হিসেবে আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মাইগ্রেশন ও উন্নয়ন সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি আয়ারল্যান্ডের স্যার পিটার সাদারল্যান্ড এবং ইন্টারন্যাশনাল অফিস অব মাইগ্রেশন (আইওএম) এর মহাপরিচালক অ্যাম্বাসেডর লেসি সুইং।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৪