নিউইয়র্ক: ১৭তম ন্যাম সম্মেলনে বাংলাদেশ ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছে। সম্প্রতি আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্স-এ অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের এক উচ্চ পর্যায়ের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ-সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
গত সোমবার চারদিনব্যাপী ১৭তম নন-অ্যালাইন্ড দেশের সম্মেলন আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে শুরু হয়।
প্রথম দু’দিনের সিনিয়র অফিসিয়াল পর্যায়ের বৈঠকের উদ্বোধন করেন আলজিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, এরপর পরবর্তী দুইদিন মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশের সিনিয়র অফিসিয়াল পর্যায়ের প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেন এবং মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।
উদ্বোধনী দিনে বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, তিনি এ ঐতিহাসিক কক্ষে বসে খুবই গৌরাবান্বিত বোধ করছেন কারণ, ৪০ বছর পূর্বে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ন্যামে বাংলাদেশের অন্তর্ভূক্তির প্রস্তাব এ-কক্ষে বসেই উত্থাপন করেছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছিলো। এরপর বাংলাদেশ ন্যামের সদস্যপদ লাভ করে বলেও জানান আব্দুল মোমেন।
সম্মেলনে সদস্য দেশসমূহের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে অভিনন্দন জানান।
তারা বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা দক্ষতার কারণে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি সমাজের অবহেলিত মানুষের জীবনযাত্রার বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচনা করেছে।
ন্যামের সদস্য দেশসসমূহের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরে আরও বলেন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা প্রশাসনের বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি মিলেছে ১৭তম ন্যাম সম্মেলনে বাংলাদেশকে ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের বিপুল সমর্থনের মাধ্যমে।
উল্লেখ্য, ১৯৬১ সালে যখন ন্যাম প্রতিষ্ঠিত হয় তখন বৈশ্বিক রাজনীতি দুই ব্লকে বিভক্ত ছিলো, একদিকে পশ্চিমা ব্লক অন্যদিকে সোভিয়েত ব্লক। বর্তমানে ন্যামের সদস্য সংখ্যা ১২১-এ দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৪