ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

নিউইয়র্ক

‘অটিজম অভিশাপ ’এ মানসিকতার পরিবর্তন হয়েছে

শিহাবউদ্দীন কিসলু,স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৫৬ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৪
‘অটিজম অভিশাপ ’এ মানসিকতার পরিবর্তন হয়েছে

জাতিসংঘ সদর দপ্তর, নিউইয়র্ক: অটিস্টিক শিশুদের স্বাভাবিক জীবন ধারায় বেড়ে ওঠার সুযোগ নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে উল্লেখ করে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বলেছেন, ‘অটিজম অভিশাপ ’এমন মানসিকতার পরিবর্তন হয়েছে। ’ এছাড়া সামাজিকভাবে বিষয়টিকে জীবনেরই একটি অংশ হিসেবে দেখতে শিখেছে সাধারণ মানুষ।



জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বৃহস্পতিবার ১২ জুন  সকাল ১০টায় ‘ক্রাইসিস,কনফ্লিক্ট এন্ড ডিজেবিলিটি: এনসিউরিং  ইক্যুয়ালিটি নামক বইয়ের মোড়ক  উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।  

প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা’র ডিজেবিলিটি  ইন্টিগ্রেশন এন্ড কোঅর্ডিনেশন বিষয়ক ইমার্জেন্সি টিমের সিনিয়র উপদেষ্টা এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পরিচালক মিসেস মার্সি রথ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া ইউএনএইচসিআর এর প্রতিনিধি ডেল বাশচার, প্রফেসর নাগাসো ওসামু সহ অন্যান্যরাও বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানে।   

অটিস্টিক শিশুদের শিক্ষা ,স্বাস্থ্য সেবা, উপযোগী বাসস্থানসহ সাধারণ মানুষের মত জীবন যাপনের অধিকার নিশ্চিত করতে প্রেসিডেন্ট ওবামা ও তার প্রশাসনের নীতিমালা ও পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে মার্সি রথ  সামাজিকভাবে অটিস্টিক শিশুদের স্বীকৃতির উপর গুরুত্বারোপ করেন। বিশেষ করে সম্প্রতি সিরিয়া সহ বিশ্বের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতে অটিস্টিক শিশুদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও অধিকারের বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি।

সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বাংলাদেশে অটিস্টিক শিশুদের জন্য কেবল শিক্ষাই নয় ,কর্ম প্রশিক্ষণ ও চাকরির সুযোগ ও কোটা, তাদের উপযোগী ভবন তৈরিতে বিল্ডিং কোড,  স্বাস্থ্য সেবার নিশ্চয়তা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায়  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের প্রণীত ডিজেবিলিটি এ্যাক্টসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বলেন,বিশেষ করে ২০১১ থেকে এক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোতেও ডিজেবিলিটি বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে তুলে ধরা হচ্ছে । এছাড়া প্রায় ৩’শ  এনজিও ডিজেবিলিটির উপর কাজ করছে।

প্রধানমন্ত্রী তনয়া পুতুল প্রাকৃতিক দুর্যোগে ডিজেবলদের বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে তার ভাবনার কথাও তুলে ধরেন।

প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, মূলত ১৯৪৮ সাল থেকেই বাংলায় কথা বলার অধিকারের অন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়েছিল।
 
‘ক্রাইসিস,কনফ্লিক্ট এন্ড ডিজেবিলিটি: এনসিউরিং  ইক্যুয়ালিটি বইটি যৌথভাবে সম্পাদনা করেছেন ড. ডেভিড মিচেল ও ড. ভেলেরি কার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন  ড. ভেলেরি কার।

বেলজিয়ামে নিযুক্ত বাংলাদেশের ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ইসমত জাহান,মিসেস সেলিনা মোমেনসহ জাতিসংঘ বাংলাদেশ মিশনও প্রবাসী বাঙালি কমিউনিটির প্রতিনিধিরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।


বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নিউইয়র্ক এর সর্বশেষ