নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কে শুরু হয়েছে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী বইমেলা। অতিথিদের ২৩টি প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ২৩তম বইমেলার আনুষ্ঠানিকতা।
কবি মহাদেব সাহা ফিতা কেটে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে কবি মহাদেব সাহা বলেন, এটা বই মেলা নয়, এটা মিলন মেলা। এটা উৎসব নয়, এটা প্রাণের মেলা।
এ সময় তাকে আজীবন সম্মাননা দেওয়ায় তিনি মুক্তধারা ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে সম্মাননাটি মুক্তধারা ফাউন্ডেশনকেই উৎসর্গ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দক্ষিণ এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক অ্যাডভাইজরি কমিশনের সদস্য ড. নিনা আহমেদ এবং নিউইয়র্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামীম আহসান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ড. নিনা আহমেদ বাঙালির মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, বাঙালি হিসেবে আমাদের গর্ব- ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষা এবং মুক্তিযুদ্ধে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি।
তিনি বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, দুটি বা একাধিক ভাষা জানা মস্তিষ্কের জন্য ভালো। প্রবাসে ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি মাতৃভাষার চর্চা এবং নিজ সংস্কৃতি চর্চা দুটোই উপকারী।
প্রবাসে বইমেলা ও বাংলা উৎসবের প্রশংসা করেন তিনি।
এবারের বই মেলায় লেখক সমরেশ মজুমদারের আসার কথা থাকলেও তিনি আসতে পারেননি। তবে বাংলাদেশের ছড়াকার লুৎফুর রহমান রিটন, ফরিদুর রেজা সাগর ও আমিরুল ইসলাম, লেখিকা মাসুদা ভাট্টি, গুলশান আরা কাজীসহ জার্মানি থেকে কবি দাউদ হায়দার ও লেখিকা নাজমুন্নেসা পিয়ারী এবং নিউয়র্কের বাঙালি লেখকরা মেলায় অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ থেকে বই মেলার জন্য ১০টি প্রকাশনীর নাম পাওয়া গেলেও প্রায় অর্ধেকেরই স্টল চোখে পড়েনি। তবে বইমেলায় অনেক শাড়ি-কাপড়ের স্টল দেখা যায়।
মেলায় বাংলাদেশ ও ভারত থেকে আসা শাড়ি-কাপড়ের স্টলগুলো প্রথম দিনে প্রায় ক্রেতা শূন্যই ছিল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে সঙ্গীত ও নৃত্যে দেশ ও প্রবাসী শিল্পীদের পরিবেশনার সঙ্গে জামালউদ্দীন হোসেন ও সেমন্তী ওয়াহেদের অভিনীত নাটক বইমেলায় নতুন মাত্রা যোগ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৪