নিউইয়র্ক: ‘একে খন্দকারের বইয়ের বক্তব্যকে পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই বলা যায়না । তবে এর পেছনে দুরভিসন্ধির গন্ধ পাচ্ছি।
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে এভাবেই বলছিলেন একাত্তরের টগবগে তরুণ ফেরদৌস খান।
৭ই মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) মঞ্চের সামনে বসেছিলেন তিনি। ওই সময় কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন না ফেরদৌস।
সব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ফেরদৌস খান রেসকোর্সে ছুটে গিয়েছিলেন বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্নকে বুকে লালন করে।
বর্তমানে নিউইয়র্ক প্রবাসী ব্যবসায়ী ফেরদৌস খান বলেন, ওই সময় বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যের প্রতিটি লাইন নিবিড়ভাবে কান পেতে শুনেছি। কখনও ‘জয়’ পাকিস্তান শব্দ শুনিনি। আর এমন উচ্চারণ তো ওই মুহূর্তে কল্পনা করাও অবাস্তব।
‘একে খন্দকারের প্রতি আগেই সন্দেহ ছিল’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আসলে ওই সময় যারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে চাকরিরত ছিলেন তারা পাকিস্তানী প্রভাবেই প্রভাবিত। হয় চর হিসেবে নয়তো বাধ্য হয়ে।
ফেরদৌস খান বলেন, তবে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়া কেবল হাতে গোনা কয়েকজন এর ব্যতিক্রম।
ফেরদৌস খান বলেন, ঐতিহাসিক ওই ভাষণের দিন বঙ্গবন্ধু প্রায় ২০ মিনিট থেকে ৩০ মিনিট দেরিতে মঞ্চে আসেন। তার অপেক্ষায় লাখো জনতা সেদিন রেসকোর্সে উদগ্রীব হয়েছিলেন।
‘তিনি এসে যে বক্তব্য দিলেন, তা স্বতস্ফূর্ত। কোনো লিখিত বক্তব্য ছিলনা। ’—যোগ করেন তিনি।
ফেরদৌস খান বলেন, শুধু রেসকোর্সের উত্তাল জনসমুদ্র থেকে নয়, মঞ্চ থেকেও স্লোগান আসছিল।
মাথার ওপর হেলিকপ্টারের চক্কর দেওয়ার দৃশ্য বর্ণনা করে তিনি বলেন, তখন আমাদের কারো মধ্যেই কেন জানি কোনো ভয় কাজ করেনি। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের আগে তার বক্তব্য রেডিওতে প্রচার হবে কী হবেনা তা নিয়ে নানা কথা শুনেছিলাম।
ঐতিহাসিক ওই ভাষণটি একদিন পর সম্প্রচার করা হয়েছিল বলে জানান ফেরদৌস খান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৪