ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নিউইয়র্ক

জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে ইতিহাসের বড় শোভাযাত্রা নিউইয়র্কে

শিহাবউদ্দীন কিসলু, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৪
জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে ইতিহাসের বড় শোভাযাত্রা নিউইয়র্কে ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্ক: জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় শোভাযাত্রা আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে নিউইয়র্কে। আগামী রোববার এই শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।



আয়োজকরা বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী ‘যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্ব নেতাদের পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতা’র বিরুদ্ধে হতাশা ও ক্ষোভই জানান দেবে রোববারের এই পিপলস র‌্যালি।

ইতোমধ্যে শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য ছোট ছোট গ্রুপ ও আন্তর্জাতিক কোয়ালিশনসহ এক হাজার ৪শ’ সংগঠন নিবন্ধন করেছে। এছাড়া ৩০০ কলেজের শিক্ষার্থীরা এই শোভাযাত্রায় অংশ নেবে। পরিবেশবাদী, শ্রমিক সংগঠন এবং সামাজিক ন্যায়বিচার বিষয়ে সক্রিয় এক ডজনেরও বেশি  সংগঠন এই ‘পিপলস ক্লাইমেট মার্চ’ এর আয়োজন করেছে।

দুপুর ঠিক ১টায় এক মিনিট নীরবতার পর শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা একযোগে সেলফোন এলার্ম, হুইসেল, বাঁশি বাজিয়ে যথাসম্ভব সর্বোচ্চ আওয়াজ করবে। এছাড়াও ২০টি ব্যান্ডের বাদ্যযন্ত্রের পাশাপাশি নিউইয়র্কের চার্চগুলিতে একযোগে ঘণ্টাও বাজানো হবে।

আয়োজকদের অন্যতম ৩৫০ডটঅর্গ এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ম্যাক কিবেন সংবাদমাধ্যমকে জানান, এই আওয়াজের অর্থ হবে ‘যারা ভবিষ্যত চুরি করছে তাদের বিরুদ্ধে বার্গলার এলার্ম বা চুরির সতর্ক বার্তা। ’ ম্যাক কিবেন ২৫ বছর আগে ‘দ্য এন্ড অব নেচার’ বই লেখে সবার নজর কাড়েন।

তিনি বলেন, ‘আমরা গ্রীষ্মে দেখছি আর্টিক হারিয়ে যাচ্ছে এবং মহাসাগরগুলো অব্যাহতভাবে এসিডিক হচ্ছে। এ অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, বরং পরিস্থিতি আরো ভয়ানক পর্যায়ে যাচ্ছে। বিষয়টি অন্য কিছুর মতো নয়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ। অতিদ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ না নিলে আর কখনোই সংশোধন করা যাবে না।

‘পিপলস ক্লাইমেট মার্চ’ এ কত লোক হবে তা ধারণা করা কঠিন উল্লেখ করে আয়োজকরা বলেছেন, সুদূর ক্যানসাস ও মিনেসসোটা থেকে ৪৯৫টি বাসে করে অংশগ্রহণকারীরা আসছে। এছাড়া নিউইয়র্কের শোভাযাত্রার সমর্থনে দিল্লি, জাকার্তা লন্ডন, মেলবার্ন রিও ডি জিনেরোসহ বিশ্বের ১৫৮টি দেশে ২ হাজার ৭০০ জলবায়ু বিষয়ক কর্মসূচি পালিত হবে।

এদিকে শোভাযাত্রাকে আকর্ষণীয় ও সফল করতে স্থানীয় অ্যাক্টিভিস্ট ও তরুণ চিত্রকররা ছাড়াও জার্মানি থেকেও শিল্পীরা নিউইয়র্কে এসেছেন। ৬ মাস ধরে তারা এই শোভাযাত্রার প্রস্তুতির জন্য কাজ করছেন।

শোভাযাত্রার ব্যানার ও বাতাসে উড্ডয়মান বিভিন্ন প্রতীক তৈরির কাজে সমন্বয়কারী ব্রুকলিনের শিল্পী র‌্যাচেল শ্রাজিস সাংবাদিকদের বলেন, পিপল’স র‌্যালি জলবায়ু আন্দোলনে বৃহৎ এবং সুন্দর প্রকাশ।   

এই র‌্যালির জন্য নিউইয়র্ক পুলিশ ২ মাইল সড়ক প্রদক্ষিণের অনুমতি দিয়েছে। সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে কলোম্বাস সার্কেল থেকে শুরু হয়ে ৫৯ স্ট্রিট দিয়ে ৬ এভিনিউ হয়ে ৪২ স্ট্রিট ধরে ১১ এভিনিউ এবং ৩৪ স্ট্রিটে গিয়ে শেষ হবে এই শোভাযাত্রা।

শুরুর আগে পশ্চিম ৬৫ স্ট্রিট থেকে ৮৬ স্ট্রিট পর্যন্ত অংশগ্রহণকারী জড়ো হবে।

পুলিশ বলছে, সেন্টাল পার্ক এলাকায় ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ লোক জমায়েতের স্থান সংকুলান হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নিউইয়র্ক এর সর্বশেষ