নিউইয়র্ক: এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার মিশন নিয়ে সফরে বের হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। বাংলাদেশের প্রতিবেশী মায়ানমারের আঙ্গিনায় হাতির পা! রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে ঢাকা-রেঙ্গুন সম্পর্কে যখন টানাপোড়েন চলছে ঠিক তখনি ওবামা যাচ্ছেন মায়ানমারে।
আগামী বিশ্বের রাজনীতিতে প্রেসিডেন্ট ওবামার এই সফরকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষক মহল।
বাংলাদেশি একজন কূটনৈতিক পর্যবেক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, প্রেসিডেন্ট ওবামার এই সফর যদিও নির্দিষ্ট কর্মসূচিকে ঘিরেই, তবুও এ ব্যাপারে বাংলাদেশের নিজস্ব ‘হোমওয়ার্ক’ থাকাটাও বাঞ্ছনীয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের এশিয়া সফরের ‘হ্যান্ডবুক’এ বাংলাদেশের স্বার্থটি যেন উহ্য না থাকে সে বিষয়টি অবশ্যই আমলে নিতে হবে। কূটনীতিতে এটাই জরুরি। অন্য যেকোনো দেশও সেটাই করবে। প্রয়োজনে এ ব্যপারে বন্ধুদেশের সহযোগীতাও কূটনীতিরই অংশ।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ১৪ নভেম্বর রেঙ্গুনে ‘ইয়ং সাউথ ইস্ট এশিয়া লিডারশিপ ইনিসিয়েটিভ’ এর সভায় অংশ নেবেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। সফরে তিনি মায়ানমারের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী অং সান সুকির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।
তিনদিনের মায়ানমার সফরে ওবামা নে পি টাও’য়ে অনুষ্ঠিত ‘আশিয়ান সামিট’ এ যোগ দেবেন এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট থাইন সাইনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
হোয়াইট হাউজ আরো জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ওবামার এই সফরে চীন এবং অস্ট্রেলিয়াও থাকছে। চীনে এ্যাপেক সিইও সামিটে যোগ দেবেন ওবামা। পরে চীনের প্রেসিডেন্ট ঝি জিন পিংয়ের সঙ্গেও বৈঠক হতে পারে। ১০ নভেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর ওবামা চীন সফরে থাকবেন।
এছাড়া অষ্ট্রেলিয়া সফরে (১৫-১৬ নভেম্বর) জি-২০ সামিটে বক্তৃতা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
মধ্যবর্তী নির্বাচনে পরাজয়ের ধকল কাটিয়ে উঠতে নেতা ওবামার ঘাড়েই দায় পড়েছে বেশি। অবিশ্বাস্য এই ভরাডুবির পর ডেমোক্রেট রাজনীতির ঘরকে খুঁটি দিয়ে সোজা রাখতে এবং দলের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্মক চেষ্টাই করবেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৪