নিউইয়র্ক: সায়মা ওয়াজেদের ‘স্বপ্ন’ বাংলাদেশের প্রতিটি পরিবারে সবার জন্য সমান সাপোর্ট বা সহযোগিতা নিশ্চিত করা। টেকসই উন্নয়নে নারী পুরুষ যেমন, তেমনি প্রতিবন্ধীরাও পরিবারে এবং সমাজে সমান অধিকার, সুবিধা ও সহযোগিতায় মাথা উচু করে বাঁচবে বলে স্বপ্ন দেখেন তিনি।
বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার নিউইয়র্কে বাংলানিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ স্বপ্নের কথা জানান সায়মা ওয়াজেদ।
নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক সেমিনার শেষে দেওয়া সাক্ষাতকারে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, একটি দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকতেই পারে। কিন্তু উন্নয়নের ক্ষেত্রে এই অস্থিরতাকে বাধা হিসেবে দাঁড় করানো উচিত নয়।
তিনি বলেন, মানসিক স্বাস্থ্যের মতো উন্নয়নও কোন রাজনৈতিক বিষয় নয়। তাই এ বিষয়ে রাজনীতি কাম্য নয়। উন্নয়নের বিষয় অবশ্যই রাজনীতির প্রভাব মুক্ত থাকা উচিৎ।
সায়মা ওয়াজেদ বলেন, আমার মা যদিও একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান। কিন্তু সবাই আমাকে আমার নিজ পরিচয়েই উপস্থাপন করেন। প্রতিবন্ধী বা টেকসই উন্নয়নে রাজনীতির নেতিবাচক ভুমিকা কোনভাবেই কাম্য নয়। আমি নিজের পরিচয়েই স্বাচ্ছন্দ বোধ করি।
বাংলাদেশের মত দক্ষিণ এশীয় দেশগুলিতে ৮০ শতাংশ প্রতিবন্ধীর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে নীতিমালা আছে। সে নীতিমালাকে কাজে লাগাতে হবে। জাতিসংঘও এখন ডেভেলপমেন্ট লক্ষমাত্রা’র ক্ষেত্রে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে।
বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী বিষয়ে অনেক সাফল্য ইতোমধ্যেই অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তনয়া বলেন, বাংলাদেশের মত এতো জনসংখ্যার দেশে শত সমস্যার মধ্যেও য়ে আমরা কাজ করতে পারি, তা অনুকরণীয় হচ্ছে। এছাড়া এ ব্যাপারে আমদের অ্যাপ্রোচ বা কাজের পদ্ধতিটা খুবই ইউনিক, ইনোভেটিভ ও ইফেকটিভ মডেল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমরা চাই একটা মাল্টিসেক্টরাল মডেল, যেখানে অংশীদারিত্ব, সহযোগিতা ও ইন্টিগ্রেশন আছে। আর এখানে নীতি নির্ধারক, সরকার, এনজিও, পরিবার ও বিশেষজ্ঞরা সবাই একসঙ্গে মিলে কাজ করলে যে ভালো কিছু করা যায় সেটাই তুলে ধরা হচ্ছে।
প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা তার শুরু থেকেই বলে জানান সায়মা হোসেন।
অটিজম জয়ের মিশন নিয়ে এরইমধ্যে বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ক প্রস্তাব গ্রহণ করেছে জাতিসংঘ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৪