নিউইয়র্ক: বাংলাদেশি কমিউনিটি ও ব্যবসার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে নিউইয়র্ক নগর সরকার।
বাংলাদেশি কমিউনিটির ব্যবসায়ের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত জ্যাকসন হাইটসকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে এবং কমিউনিটির সুষ্ঠু বিকাশ, ব্যবসা ও নিরাপত্তায় এসব পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
প্রথমবারের মতো নিউইয়র্ক নগর সরকারের ৯টি এজেন্সির ডেপুটি কমিশনার ও শীর্ষ কর্মকর্তারা জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারের মতবিনিময় সভায় এসব পরিকল্পনার কথা জানানো হয়।
নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিসহ নিউইয়র্ক সিটি সরকারের ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ, ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টেশন, ডিপার্টমেন্ট অব এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্স, ডিপার্টমেন্ট অব বিল্ডিং, ডিপার্টমেন্ট অব কনজুমার অ্যাফেয়ার্স, ডিপার্টমেন্ট অব এনভায়রনমেন্ট প্রটেকশনের প্রতিনিধিরা এ আলোচনায় অংশ নেন।
‘ইমিগ্র্যান্ট ফ্রেন্ডলি’ জ্যাকসন হাইটসের কাউন্সিলম্যান ড্যানিয়েল ড্রম এর উদ্যোগে ও সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নগর সরকারের কর্মকর্তারা বাংলাদেশি কমিউনিটি ও ব্যবসায়ের সুষ্ঠু বিকাশে যেকোন ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, সবসময়ই তারা বাংলাদেশিদের পাশে আছেন।
কাউন্সিলম্যান ড্যানিয়েল ড্রম বলেন, তার নির্বাচনি এলাকা জ্যাকসন হাইটস মূলত ইমিগ্র্যান্ট অধ্যুষিত। এখানে প্রায় ৮৬ ভাগ অধিবাসীই ইমিগ্র্যান্ট। আর অভিবাসীদের মিলনমেলা হলো জ্যাকসন হাইটসের এই ব্যবসা প্রাণকেন্দ্র।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সকল ধরনের সুবিধাদি নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যেই সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পুলিশি টহল, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় কয়েক মিলিয়ন ডলার বাজেটে পরিচ্ছন্নকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সমস্যাগুলিতে নজর দেওয়া হচ্ছে পর্যায়ক্রমে।
সিটির ডেপুটি কমিশনার ফর এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্স অমিত বাগা বলেন, জ্যাকসন হাইটন এলাকায় অবৈধ হকারদের ব্যবসা অন্যতম বড় সমস্যা। এ ব্যাপারে সিটি কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। এছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইন না মানার জরিমানাও ৩৩ শতাংশ কমানো হয়েছে, যার পরিমাণ বার্ষিক ৫ মিলিয়ন ডলার।
তবে বৈধ হকার ব্যবসায়ের প্রসার সম্পর্কে তিনি বলেন, নিউইয়র্ক সিটিতে মোট ২ হাজার বৈধ হকারকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।
নিউইয়র্ক সিটির কনজুমার অ্যাফেয়ার্স এর আউটরিচ কো-অর্ডিনেটর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তানজিলা রহমান ব্যবসায়ের মান উন্নয়নে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের অসুস্থতাজনিত বেতনসহ ছুটি মঞ্জুরে নিউইয়র্ক সিটি প্রণীত নতুন শ্রম আইনের কথা তুলে ধরেন।
এ সময় জ্যাকসন হাইটস বিউটিফিকেশন গ্রুপের প্রতিনিধিসহ স্থানীয় কমিউনিটি বোর্ড চেয়ারম্যান আলোচনায় তাদের মতামত তুলে ধরেন।
বাংলাদেশি ব্যবসায় খাবার বাড়ি, বাংলাদেশ প্লাজা, মান্নান সুপার মার্কেট, হাটবাজার এর স্বত্বাধিকারীসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীরা এ আলোচনায় তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৪