নিউইয়র্ক: বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অভিবাসন দিবস।
সব অভিবাসীদের মর্যাদাপূর্ণ জীবনের সুযোগ সৃষ্টিতে বহুমাত্রিক এবং মুক্ত সমাজ গড়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন দিবসের এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, আমরা বিশ্বের লক্ষ কোটি অভিবাসীদের কাছে ঋণী। তাদের সাহস, কর্মক্ষমতা এবং স্বপ্ন সমাজে আরো সম্ভাবনাময়, বহুমাত্রিক ও ধৈর্যশীল হতে সাহায্য করেছে।
জাতিসংঘ অভিবাসীদের ‘অভিবাসন অধিকার’ রক্ষা এবং অভিবাসনে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যয় কমাতে এবং অভিবাসন সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মৌলিক সব নীতিমালা, অভিবাসী শ্রমিক ও তাদের পরিবারের অধিকার রক্ষায় সব আন্তর্জাতিক কনভেনশন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বান কি মুন বলেন, অংশীদারিত্বে অর্থনৈতিক ও টেকসই উন্নয়নে সব সরকার ও জনগণের অভিবাসীদের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পরিহারের করতে হবে। অভিবাসীদের জন্যই অভিবাসীদের কাজের সুযোগ করে দিতে হবে।
জাতিসংঘ ২০১৫ পরবর্তী আন্তর্জাতিক অভিবাসনের ইতিবাচক প্রভাবে উন্নয়ন এজেন্ডা হিসেবে সদস্য রাষ্ট্রগুলো উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া মানবাধিকারের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল হয়ে মানবিক বিপর্যয় এবং অভিবাসনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্ব অনুধাবনে অংশীদারিত্বমূলক এবং মৌলিকভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেছে সদস্য রাষ্ট্রগুলো।
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বে আন্তর্জাতিক অভিবাসীর সংখ্যা ২৩২ মিলিয়ন। তারা শ্রমের বিনিময়ে নিজ দেশে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাচ্ছে। কিন্তু সমাজে এ বিপুল সংখ্যক অভিবাসী অদৃশ্যমান হয়ে আছে। মৌলিক অধিকার ও জীবনের ন্যূনতম চাহিদা তাদেরকে অসহায় সমঅধিকার বঞ্চিত এবং সহিংসতা ও বৈষম্যের শিকার করেছে।
আর এই বিশাল সংখ্যক অভিবাসীদের প্রায় অর্ধেকই নারী। বয়সে প্রতি ১০ জনে একজন ১৫ বছরের নিচে। তাদের ৪০ ভাগই উন্নয়নশীল দেশে বসবাস করেন। দারিদ্র্য এবং অদক্ষতা বড় বাধা হয়ে তাদের সুযোগ বঞ্চিত করছে।
জাতিসংঘ ২০০০ সালের ৪ ডিসেম্বর ১৮ ডিসেম্বরকে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’ ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়। এর ১০ বছর আগে ১৯৯০ সালে অভিবাসন বিষয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৪