ঢাকা: নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যথাযথ মর্যাদায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করেছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ২১ ফেব্রুয়ারি কনস্যুলেটে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র
প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা ও দেশের অব্যাহত শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
শুক্রবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কনস্যুলেট মিলনায়তনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় একটি আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল মো. শামীম আহসান তার বক্তৃতায় বলেন, দিবসটি সারা বিশ্বে ভাষার বৈচিত্র্য উপযাপনের একটি দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি মহান ভাষা আন্দোলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান তুলে ধরার সঙ্গে সঙ্গে ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তার বাংলায় বক্তব্য দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন।
ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, এ আন্দোলনের ধারাবাহিক অর্জনই বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন, এসআইএল ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী ড. ফ্রেডরিক এ. বসওয়েল ও একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যব্যক্তিত্ব জামালউদ্দিন হোসেন বক্তব্য রাখেন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের মধ্য দিয়ে বিশ্বসম্প্রদায়ের মধ্যে ভাষাগত বন্ধনের একটি অনন্য সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।
বর্ণিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কনস্যুলেট পরিবার, কমিউনিটি ও প্রথমবারের মতো বিদেশি শিল্পীরা (বুলগেরিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, শ্রীলংকা ও তুরস্ক) অংশ নেয়।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ কম্যুনিটির সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সবশেষে, ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবারে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৫