নিউইয়র্ক: ‘বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও মুক্তমনা সম্পাদক মার্কিন নাগরিক অভিজিৎ রায়ের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের প্রত্যয়’ শীর্ষক প্রতিবাদ সভায় তদন্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন বক্তারা।
মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে নিউইয়র্কে চলমান একুশে গ্রন্থমেলার ১১তম দিনে শনিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় এ আহবান জানান আলোচকরা।
প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক।
অভিজিৎ রায়ের নির্মম হত্যাকাণ্ডে এদিনের অনুষ্ঠানের সকল আনন্দ-উৎসব বাতিল করে মেলা প্রাঙ্গণ প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। আলোচনা, কবিতা, আবৃত্তি দিনের সকল কিছুই ছিল অভিজিৎকে ঘিরে।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. আব্দুল মোমেন, হাসান ফেরদৌস, ফেরদৌস সাজেদীন, নিনি ওয়াহেদ, সউদ চৌধুরী, নাজমুল আহসান, রতন তালুকদার, দর্পণ কবীর, আহমেদ মুসা, ফকির ইলিয়াস, আকবর হায়দার কিরন, জয়ন্ত নাগ, লুৎফুন নাহার লতা, রানু ফেরদৌস ও তানভীর রাব্বানী।
প্রতিবাদ সভায় আনিসুল হক বলেন, সন্ত্রাস ও অন্ধকারকে রুখতে পারে আলো। আলোর জন্য চাই জ্ঞান। তাই আমাদের অনেক বই পড়তে হবে।
জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. আব্দুল মোমেন বলেন, জঙ্গিবাদ দমন করা খুব জরুরি। না হলে আরও অভিজিৎদের হারাতে হবে।
সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, হুমায়ূন আজাদ থেকে শুর করে অভিজিৎ রায়কে যেভাবে খুন করা হয়েছে, তা একই রকম। একটা সংঘবদ্ধ দল এ কাজটি করছে। এদের প্রতিরোধ করা দরকার।
সভার অধিকাংশ বক্তাই অভিজিৎ রায়ের হত্যাকাণ্ডের তদন্তের জন্য মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়ার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন সেমন্তী ওয়াহেদ।
আমেরিকার বিভিন্ন শহর থেকে আসা প্রায় ২০ জন কবি এদিন প্রতিবাদের কবিতা পড়েন। ছিল সমকালীন ঘটনা প্রবাহ নিয়ে প্রধান অতিথি আনিসুল হকের সঙ্গে হাসান ফেরদৌসের লেখক-পাঠক মুখোমুখি।
বইমেলার প্রবেশ পথে ছিল অভিজিৎ রায়ের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিবেদিত শোকবই। কবি, লেখক, সাংবাদিক, শিল্পী ও বিভিন্ন পেশাজীবী প্রবাসীরা শোকবইতে স্বাক্ষর করে তাদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
** অভিজিতের মরদেহ দেওয়া হচ্ছে ঢাকা মেডিকেলে
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৫