ঢাকা: দক্ষিণ আফ্রিকার মানবাধিকার আন্দোলনের কিংবদন্তি নেতা প্রয়াত নেলসন ম্যান্ডেলা তার জীবন ও কর্মের মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম অনন্তকাল বেঁচে থাকবেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে আবদুল মোমেন।
‘আন্তর্জাতিক ম্যান্ডেলা দিবস’ উপলক্ষে শুক্রবার (২৪ জুলাই) জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ম্যান্ডেলা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো ‘জাতিসংঘ নেলসন রোলিহ্লাহ্লা ম্যান্ডেলা পুরস্কার’ ঘোষণা করা হয়। এ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন নামিবিয়ার চক্ষুরোগ চিকিত্সক ড. হেলেনা এনডুমে এবং পর্তুগালের গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠার নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ফার্নান্দো ব্রাঙ্কো স্যাম্পায়ো।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উগান্ডার প্রধানমন্ত্রী রুহাকানা রুগুন্ডা ও মানবাধিকার আন্দোলনের নেতা জেসি জ্যাকসন।
অনুষ্ঠানে এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে বক্তৃতা করেন ড. একে আবদুল মোমেন।
তিনি বলেন, খুব কম লোকই তাদের জীবন ও কর্ম দিয়ে ইতিহাস রচনা করতে পারেন। খুব কম লোকই দেশ-মহাদেশ ও সমাজ ছাড়িয়ে সর্বস্তরের মানুষের হৃদয়ে স্থায়ী আসন গেড়ে নিতে পারেন। দক্ষিণ আফ্রিকার জাতির জনক ম্যান্ডেলা- যাকে মাদিবা বলে জানতেন সবাই- তার জীবন ও কর্ম, ত্যাগ ও ভালোবাসা দিয়ে ইতিহাস রচনা করে মানুষের হৃদয়ে আসন গেড়ে নিয়েছেন। তিনি দেশ-জাতি-সমাজ ছাড়িয়ে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম অনন্তকাল ধরে বেঁচে থাকবেন।
ড. মোমেন ১৯৯০ সালে ম্যান্ডেলার বোস্টন সফরে এবং ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে তার সাক্ষাৎ পাওয়ার কথা স্মরণ করেন। এসব অনুষ্ঠানে মানবাধিকার, শান্তি, সুন্দর ভবিষ্যৎ, জ্ঞান ও সমৃদ্ধ বিশ্ব গড়তে ম্যান্ডেলার দিক-নির্দেশনা ও স্বপ্নের কথাগুলোও স্মরণ করেন রাষ্ট্রদূত ড. মোমেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৫
এইচএ/