ঢাকা: ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারীর অগ্রগতিতে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এমনকি, নারীর উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে রোল মডেল।
বুধবার (১২ অক্টোবর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের তৃতীয় কমিটির সাধারণ সভায় এ কথা বলেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নারীর উন্নয়নকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। নারীর উন্নয়নের এ প্রয়াস পাওয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে, যিনি বাংলাদেশকে এমন একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়তে চেয়েছিলেন; যেখানে জাতি গঠনে নারীরা পুরুষের সঙ্গে সমানভাবে অংশ নেবে।
মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে নারীর যে ক্ষমতায়ন, তা আমাদের উন্নয়নের মূল ভাবনাতে প্রোথিত।
বৈঠকে তিনি বলেন, নারীর উন্নয়নের এই স্বীকৃতি স্বরুপ গত ২১ সেপ্টেম্বর প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ উইমেন কর্তৃক ‘প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ এবং গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরাম র্কতৃক ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেছেন।
এ সময় মোমেন নারী উন্নয়নে শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন সাফল্য তুলে ধরেন। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এমডিজি) লিঙ্গীয় ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরেন তিনি।
তিনি জানান, বাংলাদেশ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষায় ছেলে-মেয়ের সমতা তৈরি করেছে। এছাড়া প্রতিবছর পার্লামেন্টে যে জাতীয় বাজেট করা হয় তাও অনেকটা লিঙ্গীয় সংবেদনশীল।
তিনি জানান, ২০০০ সালে যেখানে কর্মক্ষেত্রে নারীর হার ছিল মাত্র ৭ শতাংশ, এখন তা এসে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ।
মোমেন কমিটিকে জানান, বাংলাদেশ সংসদের ৩৫০টি আসনের মধ্যে ৫০টি নারীদের জন্য সংরক্ষিত। এছাড়া নারীদের জন্য প্রত্যক্ষ নির্বাচনেরও সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ অল্পসংখ্যক দেশগুলোর একটি যেখানে দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী, স্পিকার এমনকি সংসদ উপনেতাও একজন নারী।
তিনি উল্লেখ করেন, লিঙ্গীয় সমতা ও নারীর উন্নয়ন টেকসই উন্নয়নের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গীয় সমতা জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, লিঙ্গীয় সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারী ও কন্যাশিশুর অধিকারের অগ্রগতিতে দেশান্তর আন্তসম্পর্কিত বিষয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, প্রতিটি পর্যায়েই নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি জরবদস্তি রয়েছে।
জাতিসংঘের বিদায়ী মহাসচিব বান কি মুনের বলিষ্ঠ অঙ্গীকার এবং নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গীয় সমতার ক্ষেত্রে তার অর্জনের ভুয়সী প্রশংসা করেন মোমেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৬
এসআর