ঢাকা: নিউইয়র্কে নজরুল-রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উদযাপন করেছে জতিসংঘের স্থায়ী মিশন এবং বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল অফিস।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনসুলেট অফিসে শনিবার (৩ ডিসেম্বর) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৭তম এবং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
স্বাগত বক্তব্যে বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী কাজী নজরুল ইসলাম এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অসাধারণ সাহিত্য কর্মের উল্লেখ করে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন বলেন, সমস্যাসংকুল পৃথিবীতে তারা শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিয়েছেন। সার্বজনীনতা এবং ধর্ম নিরপেক্ষতার চেতনা তাদের লেখায় পরিস্ফূত হয়েছে। সারা বিশ্বে ক্রমবর্ধমান জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় তাদের লেখনী আমাদের প্রেরণা জোগাবে।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. শামীম আহসান কাজী নজরুল ইসলাম এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কাজী নজরুল ইসলামকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঢাকায় নিয়ে এসে জাতীয় কবির মর্যাদা দেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেন।
অনুষ্ঠানে দুই কবির উপর তথ্যসমৃদ্ধ পেপার উপস্থাপন করেন নজরুল বিশেষজ্ঞ ড. গুলশান আরা এবং কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়ান অ্যান্ড মিডল ইস্টার্ন কালচার বিভাগের প্রফেসর ও চেয়ারম্যান ড. ৠাচেল ম্যাকডোরমেট।
অনুষ্ঠানে দুই সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাদের পরিবারের সদস্যরা, নিউইয়র্কে বসবাসকারী প্রবাসী শিল্পীরা, প্রবাসী বাংলাদেশি বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
অতিথিদের বাংলাদেশি খাবারে আপ্যায়িত করা হয়। এ সময় অনুষ্ঠানস্থল হয়ে ওঠে এক খণ্ড বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৬
এটি