ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

নিউইয়র্ক

লন্ডনে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
লন্ডনে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন লন্ডনে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন।

ঢাকা: লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনের প্রতিরক্ষা শাখার উদ্যোগে ৪৮তম বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল আর্মি মিউজিয়ামে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনীর অনুষ্ঠানস্থলে আমন্ত্রিত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম ও লন্ডন মিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম আমিনুল হক।

অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী দেশ সুরক্ষার পাশাপাশি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে বিশ্বে এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। এ রোহিঙ্গাদের জন্য রাস্তাঘাট ও বাসস্থান তৈরি, তাদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা অপরিসীম।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীতেও নারী পাইলট, প্যারাট্যুপার এবং কনটিনজেন্ট কমান্ডারসহ অনেক নারী কর্মকর্তা দক্ষতার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে চলেছেন।

প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার আমিন তার স্বাগত বক্তব্যে সংক্ষিপ্তভাবে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী প্রতিষ্ঠার ইতিহাস এবং তাদের পরবর্তী কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।  

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে চলেছে ভিশন ২০৪১-এর মাধ্যমে। প্রতিরক্ষা নীতিমালার আলোকে ফোর্সেস গোল ২০৩০ রচিত হয়েছে। এর মাধ্যমে ইতোমধ্যেই নতুন ব্রিগেড, তিনটি পদাতিক ডিভিশন এবং একাধিক নৌ ও বিমান ঘাঁটির সংযোজন হয়েছে। এছাড়াও সংযোজিত হয়েছে বিভিন্ন অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং সরঞ্জমাদি।

প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী জাতীয় নিরাপত্তা, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড এবং দুর্যোগ ও জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় সক্রিয়ভাবে নিবেদিত। এছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গি দমনে বিশেষ করে হলি আর্টিজান বেকারি এবং আতিয়া মহলে জঙ্গি দমনে সেনাবাহিনীর কৃতিত্ব দেশে ও বিদেশে বহুল প্রসংশিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অবদান উল্লেখযোগ্য। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ভূমিকা সারাবিশ্বে প্রশংসিত।

অনুষ্ঠানে হাই কমিশনার ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিন অভ্যাগত অতিথিদের নিয়ে একটি কেক কাটেন। এরপর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এবং সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর একটি প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

লন্ডন মিশনের সহকারী প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট কর্নেল সোহেল আহমেদের সঞ্চলনায় এ অনুষ্ঠানে প্রায় ৪০০ আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৪০ ঘণ্টা,  নভেম্বর ২৮, ২০১৯
টিআর/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নিউইয়র্ক এর সর্বশেষ