১.
শ্রীরামপুরমুখি ক্ষুধার পেটে সূর্য অস্ত যায়; তানজিমা হাসানের দিকে ধাবমান আমার সব ক্ষুধা আত্মহত্যাপ্রবণ। অনেকের অনেক ক্ষুধার চিঠি আমি খুলেও দেখি নাই, অনেক ইশারা সানাই বাজিয়ে চলে গেছে সারিবদ্ধ পিঁপড়ার মতো।
২.
প্রতি সকালে আম্মা থালা ভরা ভাত রাখেন বারান্দায়। পাড়ার পাখির দল উড়ে আসে, ভোরের মর্মরে বাজে ক্ষুধার ঢোল। আমার চোখ থেকে ক্যাকটাসের মতো কোমল ঘুম খেয়ে নেয় চড়ুইয়ের ঠোঁট। পাখির জন্য আম্মা বাটিতে পানি রাখেন, আমার ত্বকে জন্ম নেয় সহস্র ব্যাঙাচির তৃষ্ণা। আমার ক্ষুধারা পাড়ার পাখিগুলোকে মনে করে সৎ ভাই; রমণীর ঋতুস্রাবের ব্যথাকে মা বলে ডাকে।
কাকেরা, চড়ুইরা (অন্য পাখিরাও থাকে, নাম জানি না) ভাত খায় একই থালায়; পানির বাটির দিকে গেলেই লাগে জাত-পাতের তর্ক। পাখিরাও তাহলে জেনে গেছে, পানি পান নিয়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে।
৩.
ক্ষুধারা বন্য—
বাঘের পেটে থাকে।
হরিণ-টরিন না পেলে বাঘের ক্ষুধারা অরণ্যের জ্বর
চিবিয়ে লোকালয়ে ছড়ায় সন্দেহ
আর ছুটিতে ক্ষুধা খুঁজতে লোকজন বনের দিকে যায়;
লোকের ক্ষুধা আছে
ছুটির দিন আছে
বাঘ বা হরিণীর কাছে যাবার তাড়না আছে।
ক্ষুধার লোক আছে, ছুটির দিন নাই
বাঘ আছে, হরিণ নাই
বাচ্চাকাচ্চাদের স্কুল নাই
ক্ষুধাদের শিক্ষিত হবার দরকার নাই।
তাহলে ছুটির দিনের ঘুম খেয়ে
সকালের ক্ষুধারা কার বাড়ি বেড়াতে যায়?
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৪