ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অফবিট

১০ কোটি বছর ধরে অপরাজেয় মাকড়সা!

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৬
১০ কোটি বছর ধরে অপরাজেয় মাকড়সা!

টেট্রাব্লেমমিডস্‌ প্রজাতির একটি নতুন ধরনের মাকড়সার সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যারা আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করে প্রায় ১০ কোটি বছর ধরে টিকে আছে পৃথিবীতে।

শরীরের বর্ম বা বহিঃকঙ্কালই এদের শত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করার মূল অস্ত্র বলে এ জাতীয় মাকড়সার নামকরণ করা হয়েছে আর্মড স্পাইডার বা সাঁজোয়া মাকড়সা। অসাধারণ ও অদ্ভুত এ মাকড়সার প্রজাতির পুরো নাম ইলেক্ট্রোব্লেমমা বিফিদা টেট্রাব্লেমমিডস্‌।
 
সাম্প্রতিককালে ক্রিটেসিয়াসের মৃত বাষ্পীয় ক্রান্তীয় বনাঞ্চলে প্রাগৈতিহাসিক এ প্রজাতির একটি পুরুষ মাকড়সার জীবাশ্ম পাওয়া গেছে, যা ৯ কোটি ৯০ লাখ বছর আগেকার। এই ক্ষুদ্র সাঁজোয়া মাকড়সা সম্পর্কে জানাও গেছে সে সময়টায়ই। অর্থাৎ, দশ কোটি বছর ধরেই মানুষের অজ্ঞাতে টিকেছিল টেট্রাব্লেমমিডস্‌ মাকড়সা পরিবারের নতুন সংযোজন এই প্রাণীগুলো।

২ মিলিমিটারেরও কম লম্বা ও ০.৫ মিমি চওড়ার ছোট এ মাকড়সার জৈব বর্মটি তার শরীরের তুলনায় অস্বাভাবিক ভারী। চামড়া থেকে ১৪-১৬ মাইক্রোমিটার পুরু এ রক্ষাকবচটি দিয়ে তারা নিজেদের চোখ, মুখ ও অন্যান্য সংজ্ঞাবহ অঙ্গ শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করে। অন্যদিকে, তার সামনের শুঁড় দিয়ে শিকারকে দংশন ও অজ্ঞান করে খেয়ে ফেলে এই খাইয়ে মাকসাড়টি।
পুরো শরীর নিয়ে সাঁজোয়া মাকড়সা যখন চলাচল করে, তখন তাকে সত্যিই একটি ছোট কামানবাহী ট্যাঙ্কের মতো দেখায়।

সাঁজোয়া এ মাকড়সার ভেতরের পেশির গঠনও সম্পূর্ণ ভিন্ন। প্রাপ্তবয়স্ক মাকড়সা তাদের আকারের জন্যই দীর্ঘায়ু হয় বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

মায়ানমারে টেট্রাব্লেমমিডস্‌ প্রজাতির মাকড়সার বসবাস বেশি। এ প্রজাতির ১৬১ সদস্যের প্রত্যেকটিরই শরীর কয়েকটি কঠিন স্তরের বহিঃকঙ্কালে আচ্ছাদিত। তবে মায়ানমারি আর্মড স্পাইডারই পৃথিবীর প্রাচীনতম মাকড়সা।

বাংলাদেশ সময়: ০৩২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৬
এএসআর/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।