গত বছর ঘোষিত নিষেধাজ্ঞাটি ২০১৭ সালের শেষদিন রোববার (৩১ ডিসেম্বর) বলবৎ হয়। নতুন বছর ২০১৮ সালের প্রথমদিন থেকেই এ নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে প্রয়োগ করছে দেশটি।
হাতির দাঁতের বাণিজ্য আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ ১৯৯০ সাল থেকে। কিন্তু এর সহজলভ্যতা ও দীর্ঘস্থায়িত্বের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম বাজারের একটি বলে বিবেচিত হয়ে আসছিল চীন।
দাঁত সংগ্রহে প্রতি বছর ৩০ হাজার আফ্রিকান হাতি শিকারিদের হাতে মারা যায় বলে জানিয়েছেন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে প্রচারাভিযান পরিচালনাকারীরা। বিশ্বের হাতি জনগোষ্ঠীকে রক্ষার প্রচেষ্টায় চীনের এ পদক্ষেপ একটি বড় উন্নয়ন হিসেবে প্রশংসা করছেন তারা।
দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যম সিনহুয়া জানায়, গত বছরের তুলনায় হাতির কাঁচা দাঁতের দাম ইতোমধ্যেই ৬৫ শতাংশ কমিয়ে ফেলা হয়েছে। ফলে চীনে ৮০ শতাংশেরও বেশি দাঁত কম ঢুকেছে।
২০১৪ সালের মার্চে ২৫ হাজার কারখানা ও হাতির দাঁতের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাকি ১০৫টিও রোববার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বন মন্ত্রণালয়ের ওয়েব মাইক্রোব্লগে বলেছে, ‘এখন থেকে যদি একজন ব্যবসায়ী আপনাকে বলেন যে, এটি একটি রাষ্ট্রীয় অনুমোদিত হাতির দাঁতের ডিলার। আপনি তাকে ঘৃণা করে বলবেন, আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে আইনের লঙ্ঘন করছেন’।
সিনহুয়া বলেছে, সুপারস্টার বাস্কেটবল খেলোয়াড় ইয়াও মিংসহ সেলিব্রিটিদের সমর্থন নিয়ে সর্বকালের সর্বাধিক সার্বজনীন সচেতনতা প্রচারণা শেষে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বিশ্ব প্রাকৃতিক বন্যপ্রাণী ফান্ডের (ডব্লিউডব্লিউএফ) আফ্রিকার পরিচালক ফ্রেড কুমাহ তার ব্লগ পোস্টে বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় হাতির দাঁতের বাজারের প্রবেশদ্বার বন্ধ হওয়ায় আমরা আনন্দিত। এটি একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ, যা আফ্রিকায় হাতি সুরক্ষা প্রচেষ্টার একটি বিশাল উৎস বলে প্রমাণিত হবে’।
‘চীনে নিষেধাজ্ঞা বহাল করতে অনেক জনসমর্থন থাকলেও এখনো এই সচেতনতা ছিল যে, এটি বাধ্যতামূলকভাবে প্রয়োগ করতে হবে’।
এ বিষয়ে অব্যাহত শিক্ষা চালুরও আহ্বান জানান তিনি।
ওয়াইল্ডএইডের প্রধান নির্বাহী পিটার নাইটসও বলেন, ‘এটি হাতি হত্যা কমাতে সর্বশ্রেষ্ঠ একক পদক্ষেপ। ২০১৮ সালে আমরা আশা করতে পারি যে, হাতিরা এখন নিরাপদ হবে, যেখানে চীন হাতির দাঁত বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে’।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৭
এএসআর