তাফসির: আলোচ্য আয়াতে মানবকর্মের জবাবদিহি ও হিসাব-নিকাশ সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, প্রত্যেক মানুষের কাজকর্মের যাবতীয় তথ্য নির্দিষ্ট গ্রন্থে লেখা হয়।
কেয়ামতের দিন নেককার ও সৌভাগ্যবানদের ডান হাতে আমলনামা দেওয়া হবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন যাকে তার আমলনামা ডান হাতে দেওয়া হবে, সে (আনন্দে অন্যদের ডেকে) বলবে, নাও তোমরা আমার আমলনামা পড়ে দেখো। আমি জানতাম যে আমাকে জবাবদিহির সম্মুখীন করা হবে। ’ (সুরা : হাককাহ, আয়াত : ১৯-২০)
আর পাপী, অবিশ্বাসী ও হতভাগাদের আমলনামা দেওয়া হবে বাঁ হাতে। এ বিষয়ে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর যার আমলনামা বাঁ হাতে দেওয়া হবে, সে বলবে হায়! আমাকে যদি আমার আমলনামা না দেওয়া হতো। আর আমি যদি না জানতাম আমার হিসাব। হায়! আমার মৃত্যুই যদি আমার (সব কিছুর) শেষ হতো। ’ (সুরা : হাককাহ, আয়াত : ২৫-২৭)
কেয়ামতের দিন হিসাব-নিকাশের পর একদল মানুষ জান্নাতে যাবে, আর অন্য দল জাহান্নামে যাবে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘এভাবেই আমি তোমার প্রতি আরবি ভাষায় কোরআন নাজিল করেছি, যাতে তুমি মক্কা ও এর আশপাশের লোকদের সতর্ক করতে পারো, আর তাদের হাশরের দিন সম্পর্কে সতর্ক করতে পারো। এই দিন সম্পর্কে কোনো সন্দেহ নেই। (সেদিন) একদল যাবে জান্নাতে, আর অন্য দল যাবে জাহান্নামে। ’ (সুরা শুরা, আয়াত : ৭)। অন্য আয়াতে এসেছে, ‘নেককাররা তো থাকবে পরম স্বাচ্ছন্দ্যে। আর পাপাচারীরা তো থাকবে জাহান্নামে। তারা কর্মফল দিবসে সেখানে প্রবেশ করবে। তারা সেখান থেকে কোনো দিন অদৃশ্য (অনুপস্থিত) থাকতে পারবে না। ’ (সুরা : ইনফিতার, আয়াত : ১৩-১৬)
কেয়ামতের দিনের বৈশিষ্ট্য হলো, সেদিন আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও রাজত্ব থাকবে না। ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন একে অন্যের জন্য কিছুই করার সামর্থ্য থাকবে না। সেদিন সব কর্তৃত্ব হবে আল্লাহর। ’ (সুরা : ইনফিতার, আয়াত : ১৯)
সংকলন ও গ্রন্থনা: মাওলানা আহমদ রাইদ
রমজানবিষয়ক যেকোনো লেখা আপনিও দিতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৯
এমএমইউ