ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

মন্তব্য প্রতিবেদন

নিজের পুঁজি নিজেকেই রক্ষা করতে হবে

টিটু দত্ত গুপ্ত | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৫
নিজের পুঁজি নিজেকেই রক্ষা করতে হবে

পুঁজিবাজারই যাদের ধ্যান-জ্ঞান, এ বাজারকে ঘিরেই যাদের জীবন ও জীবিকা, তারা নিজেরাই যথেষ্ট বুদ্ধিমান। কখন শেয়ার কিনতে হবে, কখন বেচতে হবে, মুনাফা তুলে কখন সটকে পড়তে হবে সেই সংকেত তাদের সজাগ ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় আগেভাগেই টের পায়।

তাই বড় বড় ধস তাদের ছুঁতে পারে না। যারা তাদের অলস সঞ্চয়ের কিছু অংশ ব্যাংক বা সঞ্চয়পত্র থেকে উঠিয়ে এনে বেছে বেছে নির্ঝঞ্জাট কিছু শেয়ারে লগ্নি করে প্রতিদিন পত্রিকার পাতায় দামের ওঠানামার দিকে নজর রাখে, আর ক্যালকুলেটরে হিসাব কষে কত লাভ বা লোকসান হলো, তাদেরও তেমন উচ্চবাচ্য থাকে না।

শেয়ারবাজারে কেবল নিরবচ্ছিন্ন লাভ, তিন বা ছয় মাসেই পুঁজি দ্বিগুণ, রাতারাতি টাকাওয়ালা বনে যাওয়ার উগ্র স্বপ্নে তাড়িত হয়ে যারা নিজের ও স্বজনদের সব সঞ্চয় নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে, তাদেরই বিপদ বেশি। শেয়ারবাজারের হঠাৎ উল্লম্ফনে সাময়িক কিছু লাভ তাদেরও হয়। আবার হঠাৎ দরপতনে তারাই সব খুইয়ে রাস্তায় নামে।

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের ইতিহাসে ১৯৯৬ ও ২০১০ সালের দু’টি বড় বিপর্যয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত স্বল্প পুঁজির বিনিয়োগকারীরা। এদের অনেকেই এখন আর ওপথ মাড়ায় না। সর্বশেষ পতনের ক্ষত সারানোর আশায় যারা এখনো শেয়ার আঁকড়ে আছে, খুব একটা আশার আলো তাদের চোখেও নেই।

বড় বড় ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বছরজুড়ে দাপিয়ে বেড়ালেও স্বল্প পুঁজির বিনিয়োগকারীদেরই শেয়ারবাজারের প্রাণ বিবেচনা করা হয়। ভারত, চীন থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত বিশ্বের বড় বড় পুঁজিবাজারে তাই ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য নিশ্চিত রয়েছে আইনি ও আর্থিক সুরক্ষা। নিজে জেনে-বুঝে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বিশ্বাসযোগ্য পর্যাপ্ত তথ্য তাদের কাছে সহজলভ্য। যৌক্তিক ফি দিয়ে পেশাদার বিশ্লেষকদের কাছ থেকে তারা পরামর্শ নিতে পারে। এর পরও বাজারে কোনো কারসাজি বা পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা যদি পুঁজি হারায়, তাদের জন্য রয়েছে বীমার মতো আর্থিক সুবিধা।

১৯৭০ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শেয়ারবাজার নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ যখন খাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছিল, তখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নিক্সন সিকিউরিটিজ ইনভেস্টমেন্ট প্রটেকশন ল স্বাক্ষর করেন। ওই আইনে বলা আছে, এটি বড় বিনিয়োগকারীদের জন্য নয়। বিধবা, অবসরপ্রাপ্ত দম্পতি, ছোট বিনিয়োগকারী যারা তাদের সব সঞ্চয় বিনিয়োগ করে সর্বস্বান্ত হয়, তারাই এ আইনে সুরক্ষা পাবে। এ আইনের আওতায় গঠিত একটি সংস্থার কাছে সহায়তা তহবিল আছে, যা স্টকব্রোকার-ডিলারদের চাঁদায় চলে। তহবিলে টান পড়লে সরকার থেকে ধার করার বিধান রয়েছে এতে।

অর্থনীতিতে অনেক দ্রুত এগিয়ে গেলেও চীনের পুঁজিবাজার এখনো শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়াতে পারেনি। প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও পদ্ধতি থেকে শুরু করে বাজার পরিচালনার প্রতিটি ধাপে গলদ থাকায় বাজারে প্রায়ই অস্থিরতা তৈরি হয়, যার খেসারত বেশি দিতে হয় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের। এ রকম পরিস্থিতিতে ২০১৩ সালে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে চীন সরকার। সরকার নয়, এ ক্ষতিপূরণ দেবে ওই সব কম্পানি যাদের মিথ্যা তথ্যে বিনিয়োগকারীরা প্রতারিত হয়েছে। মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় যেসব প্রতিষ্ঠান, যেমন আন্ডাররাইটার, ফান্ড ম্যানজোর ও ট্রাস্টি, তাদেরও জবাবদিহিতার আওতায় আনা হয়েছে সে দেশে। ভারতেও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় সে দেশের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড কম্পানিগুলোর জন্য নিয়মকানুন কঠোর করার পাশাপাশি সুরক্ষা ও প্রশিক্ষণ তহবিল গঠন করেছে।

২০১০ সালের ধসের পর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন পুনর্গঠিত হয়েছে। বাজারে সংস্থাটির তদারকি বাড়ার ফলে বড় ধরনের ভরাডুবির ঝুঁকি অনেকখানি কমেছে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আংশিক ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যদিও তা সবার কাছে পৌঁছায়নি।

প্রতিবছরের বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য প্রণোদনা থাকে, বিনিয়োগকারীদের জন্য কর রেয়াত থাকে। এসব আইন ও উদ্যোগের ফলে শেয়ারবাজারে এখন স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক সাড়ে চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার পয়েন্টের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। বাজারে শেয়ারের সরবরাহও বেড়েছে। বড় ও মাঝারি লগ্নিকারীরা সক্রিয় থাকলেও বাজারে স্বল্প পুঁজির বিনিয়োগকারীদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি এখনো নেই।

বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. মির্জ্জা এ বি আজিজুল ইসলামের ভাষায়, বর্তমান পুঁজিবাজারকে আমি বলে থাকি নিম্ন পর্যায়ের স্থিতিশীল বাজার। কারণ এখনো ইনডেক্স পাঁচ হাজারের ওপরে ওঠেনি। বাজার বাড়ছে না; কিন্তু স্থিতিশীল আছে। বাজার বাড়ার লক্ষণ যেমনটা দেখা যাচ্ছিল, তাতে ইনডেক্স ছয় বা সাড়ে ছয় হাজারে যাওয়া উচিত। কিন্তু এখন পর্যন্ত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা খুব একটা ফেরেনি, যার ফলে বাজারে চাহিদা এখনো সরবরাহের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম।

তার নিজেরও প্রশ্ন, আমি নিজেই কেন শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করব? এক. হয় আমার ডিভিডেন্ট বাড়বে; দুই. ভবিষ্যতে লাভ পাবো। আমাদের বাজারে সেই নিশ্চয়তা এখনো নেই। চাহিদা না থাকলে মূল্য বাড়ে না। বিনিয়োগকারীরাও আসতে চায় না।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বাজারে কিছুটা ইতিবাচক অবস্থা বিরাজ করছে। এটা যদি বজায় থাকে, তাহলে মানুষ হয়তো বিনিয়োগে উৎসাহী হবে- তার আশা।

কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুর্বলতা থেকেই গেছে। বড় ধরনের কারসাজি আপাতত কঠিন মনে হলেও ছোটখাটো ছলচাতুরীর পথ খোলাই। প্রযুক্তিগত দক্ষতায় পারদর্শী নানা গ্রুপ এখন ঘরে বসেই ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করছে। আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম, আইপিও কারসাজি, মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ব্যবহার করে শেয়ারের দাম বাড়ানো, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছড়িয়ে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করাসহ নানা মাত্রার সূক্ষ্ম কারসাজি থেমে নেই। নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের উপেক্ষাতেই কিছু কারসাজি ও অপকর্মের শিকার হয়েছে দেশের পুঁজিবাজার।

ডিভিপি (ডেলিভারি ভারসাস পেমেন্ট) নিষ্পত্তিতে ক্রমব্যর্থতা ১৯৯৬ সালের বিপর্যয় ডেকে আনে। একইভাবে বিপুল অঙ্কের মার্জিন ঋণ ২০১০ সালে ফের শেয়ারবাজারে স্মরণকালের বড় ধস নামায়। উভয় ঘটনায়ই নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো পরিস্থিতি বুঝে সময়মতো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থাও নেমে গেছে শূন্যের কোঠায়, যা আজও ফেরেনি।

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে কম্পানি তালিকাভুক্ত করে কিছু উদ্যোক্তা বড়লোক হচ্ছেন। ১৯৯৬ ও ২০১০ সালের পুনরাবৃত্তি যাতে আর না হয় সে জন্য বিনিয়োগকারীদের সচেতন করার উদ্যোগও খুব একটা কার্যকর নয়। বাজারে কারসাজির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত কম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনের অনিয়ম রোধে সংসদে দ্রুত ‘ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্ট’ পাস করা জরুরি। নিরীক্ষকদের দুটি সংগঠনের আপত্তির মুখে সেই আইন প্রণয়নও ঝুলে আছে।

বার্ষিক প্রতিবেদনের মতো অর্ধবার্ষিক ও প্রান্তিক প্রতিবেদনের অডিট বাধ্যতামূলক করে দিতে হবে। বিশ্বের উন্নত শেয়ারবাজারগুলোতে প্রান্তিক, অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক প্রতিবেদন স্বীকৃত চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট দিয়ে অডিট করানো বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশের শেয়ারবাজারেও তালিকাভুক্ত কম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করা উচিত। এফআরএ পাস হলে কম্পানিগুলোর নিরীক্ষা প্রতিবেদনে স্বচ্ছতা আসবে, তাদের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্বাসযোগ্যতা পাবে, নিরীক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিও প্রতিষ্ঠিত হবে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জাতীয় সংসদে বলেছেন, শেয়ারবাজারের কারসাজি চিরতরে বন্ধ করতে আইন হচ্ছে। এর আওতায় পুনর্গঠিত কমিশন সিকিউরিটিজ-সংক্রান্ত আইন, বিধিবিধান সংস্কারপূর্বক যুগোপযোগী করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোর যেসব অব্যবস্থাপনা ও দুর্বলতার কারণে কারসাজি চলছে, তা চিরতরে আইনগতভাবে বন্ধ করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। তা ছাড়া প্রচলিত সিকিউরিটিজ আইনের আওতায় বাজারসংশ্লিষ্ট সব পক্ষের কার্যক্রম তদারকি হচ্ছে।

শেয়ারবাজারে কেলেঙ্কারির ঘটনা উন্নত দেশেও হয়। তবে সেসব দেশে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হয় দ্রুত। ১৯৯৬ সালে লাভের মিথ্যা তথ্য দিয়ে শেয়ারের দাম ৪৫০ শতাংশ বাড়িয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের কনটিনেন্টাল টেকনোলজি। হঠাৎ দরপতনে ৫৫ ডলারের শেয়ার তিন ডলারে নেমে এলে সর্বস্ব হারায় ওই কম্পানির ২০ হাজার অংশীদার। ১৯৯৭ সালে কানাডার স্বর্ণ খনি কম্পানি ব্রি-এক্স মিনারেলে বিনিয়োগ করে বিপুল লোকসান গুনেছে সে দেশের সরকারি চাকুরে ও শিক্ষকদের অবসর তহবিল।

যুক্তরাষ্ট্রে ২০০১ সালে এনরনের শেয়ারের দাম ৯০ ডলারে উঠে হঠাৎ নেমেছিল ৭০ সেন্টে, পরের বছর ওয়ার্ল্ডকমের দাম ৬০ ডলার থেকে ২০ সেন্টে নামতে সময় লাগেনি। মাঝখানে ফতুর হয়েছে ওই সব কম্পানির সর্বশেষ অংশীদাররা, কম-বেশি আঁচ টের পেয়েছে সে দেশের শেয়ারবাজারের অন্য সব বিনিয়োগকারীরাও।

তবে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে হয়েছে ওই সব কম্পানিকে। মিথ্যা তথ্য প্রচার ও ইনসাইডার ট্রেডিংসহ সব অপকর্মের জন্য চড়া মূল্য দিতে হয়েছে কম্পানিগুলোর কর্মকর্তাদের। কংগ্রেসের শুনানির মুখোমুখি হতে হয়েছিল, জেলে যেতে হয়েছিল তাদের। আমাদের দেশে এমন নজির নেই বললেই চলে। ১৯৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলা ১৫ বছরেও নিষ্পত্তি হয়নি।

এর প্রধান কারণগুলো হচ্ছে- বিচারিক আদালতের বিভিন্ন আদেশের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষ কর্তৃক উচ্চ আদালতে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রদত্ত স্থগিতাদেশ, সাক্ষীর অভাব, তথ্য-প্রমাণাদির অপর্যাপ্ততা এবং বিচারিক আদালতে মামলার আধিক্য।

২০১০ সালের শেয়ারবাজার কারসাজির তদন্ত করেছিলেন খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। তার নেতৃত্বাধীন কমিটি সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন দিয়েছিল, যার বেশ কিছু সুপারিশ সরকার বাস্তবায়নও করেছে। তবু অনেক কিছুই এখনো বাকি।

ফেসবুকসহ নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করার ঘটনা ঘটছে। শেয়ারবাজারে ভালো পরামর্শ দেওয়ার মতো স্বীকৃত পেশাদার প্রতিষ্ঠান তেমন নেই। ফলে প্রতারণার এসব ফাঁদে পা দিচ্ছে অনেক বিনিয়োগকারী, সাময়িকভাবে হয়তো লাভও করছে কেউ কেউ।

তবে নিয়মবহির্ভূত এসব প্রচারণা-প্রতারণা শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা নষ্ট করবে। আশার কথা, শেয়ারবাজার-সংক্রান্ত ট্রাইব্যুনাল চলতি সপ্তাহে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করার দায়ে একজনকে সাজা দিয়েছে। এসব বন্ধে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে আরো তৎপর হতে হবে। একই সঙ্গে সঠিক তথ্য ও পরামর্শ পেয়ে বিনিয়োগকারীরা, বিশেষ করে স্বল্প পুঁজি ও অল্প বুদ্ধির যারা আছে তারা যাতে স্বাধীনভাবে শেয়ার কেনাবেচার সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তার পথ প্রশস্ত করতে হবে।

একই সঙ্গে তাদের এ কথাও মনে রাখতে হবে, শেয়ারবাজার নিরবচ্ছিন্ন লাভের জায়গা নয়। সিএনএনমানির গ্রিড অ্যান্ড ফিয়ার ইনডেক্সের মতো সতর্কীকরণের ব্যবস্থা এ দেশে নেই। তাই নিজেদের বিনিয়োগ নিজেদেরই রক্ষা করতে হবে। অন্য সব বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও তাই। শেয়ারের দাম পড়তে থাকলে হাতের সব শেয়ার ছেড়ে চলে আসা যেমন বুদ্ধিমানের কাজ নয়, আবার নিজের সব সঞ্চয় অথবা ধার করা অর্থে যেনতেন শেয়ার কিনে লাভের একমুখী হিসাব করাও ঠিক হবে না। বাজারের গতিবিধি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা তাদের নিজেদেরও থাকতে হবে, কেবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা সরকারের ওপর সব ভার চাপিয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকার সুযোগ নেই। সৌজন্যে: দৈনিক কালের কণ্ঠ।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৫
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।