ধ্বংস স্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে কি খেলাটাই না খেললো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সেরা বোলার তাসকিন নেই, আরাফাত সানি নেই, ড্যাশিং হিরো তামিম নাই।
গত সপ্তাহে বাংলাদেশের উপর ঝড় বয়ে গেছে কে বলবে? আইসিসি বাঘেদের নখ কেটে ফেলার প্রচেষ্টার পরও মাহমুদুল্লাহর ব্যাট থেকে একেকটি বল যখন সীমানায় পাঠাচ্ছিলো তার ঢেউ তখন ঢাকার প্রতি রাস্তার মোড়ে যেন আছড়ে পড়ছিলো। কী নিপুন হিট একেকটি!!
কে বলবে এই দলটির আজ শুধু হারার জন্যই মাঠে নেমেছিলো? প্রিয় দুই সতীর্থ হারিয়ে যাদের কেউই আজ খেলার মুডে ছিলো না, তারা সেই মুডলেস অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের বেদম পিটিয়েছে। আহা হা হা সে কি মার! ১৫৬ বড় স্কোর নয়, সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন। কিন্তু ড্রেসিং রুমে মন খারাপ গুমোট পরিবেশেকে ভুলে মাহমুদুল্লাহ সাকিবরা বিশ্বকে যে বার্তা দিলেন তাতে বাঘেদের জাতই চিনিয়ে দিলো বৈকি?
মাশারাফি আগের দিনই দুই বন্ধুর জন্য চোখের জল ফেলেছেন। স্বাভাবিকভাবেই দলের অবস্থা অনুমেয়। বুকে তীব্র ব্যথা আর কান্না নিয়ে মাঠে নেমেছিলো সাকিব অ্যান্ড ব্রাদার্স। হ্যা, ব্রাদার্স। ভাই-ই তো। ভাই না হলে এর আগে ক্রিকেট বিশ্বে কে দেখেছে সতীর্থের জন্যে এমন কান্না? ১৫৬ রানের যাত্রা দুর্গম না হলেও একেরপর এক সাত সাতটি আঘাত হেনে নিজেদের মন খারাপের দিনেও অস্ট্রেলিয়ার কপালে ভাঁজ ফেলেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে হেরে আজ যখন একের পর এক উইকেট যাচ্ছিলো, স্মিথদের চিন্তা তাতেই বেড়ে যাচ্ছিলো। কারণ বাঘেদের আঘাতে গ্রুপ পর্বে রান রেটের স্কোরে তারা পিছিয়ে পড়ে নাকি সে চিন্তাও তাদের করতে হচ্ছে। বাঘেদের বধ করা গেলেও তাদের নখরের ক্ষত শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে গ্যাংগ্রিন তৈরি করে কিনা সে চিন্তাতো আছেই।
বাংলাদেশ সাত উইকেট তুলে নিলেও, তিন তিনটি সহজ আউট মিস করেছে। মন খারাপের কিছু ফলতো থাকবেই। সাত উইকেট এবং মিসিং তিন উইকেট মিলিয়ে দশ উইকেট হলে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দেওয়ার আনন্দ খুঁজে পেতে পারে বাংলাদেশ।
মাশরাফিরা অস্টেলিয়াকে বলতেই পারে আজ মন খারাপের দিনে এমন না হয় হলো, ভালো কোনো দিনে এসো, ধরায়ে দিবানি।
লেখক: মনোয়ার রুবেল, কলামিস্ট ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট
ইমেইল: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৬
এটি