সংবাদ কর্মীদের বেশির ভাগ সময় সোর্স ও গুজবের মধ্যে থেকেই সংবাদ সংগ্রহ করতে হয়, সেই ক্ষেত্রে অনেক সময় তথ্য সত্য মিথ্যা যাচাই সময় প্রিন্ট মিডিয়ার হাতে থাকলেও অনলাইন পোর্টালের সেই সময় বা সুযোগ থাকে না। সেই ক্ষেত্রে প্রতিটি সংবাদ ঝুঁকি নিয়ে সংবাদকর্মীকে সংগ্রহ করতে হয়,এবং অনলাইন পোর্টালে প্রকাশ হয়।
অনেক সময় ঝুঁকি নিয়ে লেখা সত্য খবরও আলোচনা হয়, সমালোচনায় পড়ে। সংবাদকর্মীকে নাঝেহাল হতে হয়। সেটা শুধু পাবলিকের কাছে নয়, সহকর্মীদের কাছেও।
তেমনি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র দুটি সংবাদ, একটি আমার লেখা প্রয়াত সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদকে দাফন করাকে কেন্দ্র করে পরিবারের মধ্যে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার খবর। যে লেখা বাংলানিউজের সর্বাধিক হিট সংবাদের একটি। আর তা সমালোচিতও হয়েছিল। আর খবরের যখন সত্যতা মিললো তখন পাওয়া যায় প্রশংসা। শুধু দেশেই নয় আমি যখন নিউইউর্য়কে যাই সবাই আমাকে কনগ্রাচুলেট করে। আমি খুশি হয়েছিলাম সত্য জানানোর জন্য গুটি কয় মানুষের ভালোবাসা পেয়ে। তেমনি এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রীর হত্যার সংবাদ বাংলানিউজে প্রকাশিত হওয়ার পর শুধু সংবাদকর্মীকেই নয় প্রতিষ্ঠানটিকেও যেভাবে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তা ছিলো দুঃখজনক।
অথচ সংবাদটি কতটা ঝুঁকি নিয়ে সেই সংবাদকর্মী সংগ্রহ করেছেন এবং প্রতিষ্ঠানটি প্রকাশ করেছে তা পাঠকরাই নয়, সহকর্মীরাও চিন্তা করতে পারেননি । তাই শুধু পাঠক নয় অনেক সহকর্মীও ফেইসবুকে ঐ সাংবাদিক ও প্রতিষ্ঠানকে নোংরা ভাষায় সমালোচনা করেছে।
অথচ যারা সেই সংবাদটি সমালোচনা করেছিলেন তারাই এখন পক্ষে ছাফাই গাইছেন।
আমাদের সমাজটা যে কতটা ঘুনে ধরেছে এই দুটো উদাহরণই তার প্রমাণ।
আবু তাহের খোকন, সাংবাদিক, বাংলাদেশ প্রতিদিন
বাংলাদেশ সময় ১৭১৮ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৬
এমএমকে/